জামালপুরে চাষাবাদ নিয়ে উদ্বেগে কৃষক

সর্বমোট পঠিত : 35 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবিপ্রবি) ফিশারিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে এখন ক্লাইমেট চেঞ্জের বিশাল ইমপ্যাক্ট পড়েছে। সেই ক্লাইমেট চেঞ্জের ইমপ্যাক্টের কারণে দেখা যাচ্ছে যে গত বছর বন্যা বেশি হয়েছে। এবার বন্যা হয়নি। সামনের বছর কি হবে আমরা বলতে পারছি না।’

জামালপুরে ফসলি জমির উর্বরতা কমায় চাষাবাদ নিয়ে উদ্বেগে কৃষক। কৃষি গবেষকেরা বলছেন, চলতি বছর জেলার নদ-নদীর পানির স্তর উল্লেখযোগ্যভাবে কমায় প্রাকৃতিকভাবে পলি জমতে পারছে না জমিতে। তবে উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব যাতে না পড়ে সে জন্য পরিমিত সার ও কীটনাশক ব্যবহারের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রতিবছর নদীর পানি বেড়ে পলি জমে কৃষি জমিতে। এতে খেত-খামারে বাড়ে উর্বরতা। চলতি বছর জামালপুরে নদ-নদীর পানি কমে যাওয়ায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এ প্রক্রিয়া।

কৃষকেরা বলছেন, বর্ষায়ও নদীতে পানি তেমন না বাড়ায় নতুন করে পলি পড়েনি জমিতে। এতে শুষ্ক হয়ে পড়েছে মাটি। ধানসহ বিভিন্ন ফসল রোপণে বেড়েছে ভোগান্তি।

কৃষি গবেষকেরা বলছেন, অনিয়মিত বৃষ্টিপাতে বর্ষা মৌসুমেও নদীর পানির স্তর কম থাকায় এ বছর কৃষি জমিতে পলি জমেনি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমন পরিস্থিতি।

জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবিপ্রবি) ফিশারিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে এখন ক্লাইমেট চেঞ্জের বিশাল ইমপ্যাক্ট পড়েছে। সেই ক্লাইমেট চেঞ্জের ইমপ্যাক্টের কারণে দেখা যাচ্ছে যে গত বছর বন্যা বেশি হয়েছে। এবার বন্যা হয়নি। সামনের বছর কি হবে আমরা বলতে পারছি না।’

কৃষি পণ্যের উৎপাদন ঠিক রাখতে পরিমিত পরিমাণে সার ও কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ তাদের। এ জন্য কৃষি বিভাগকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করতে হবে।

জামালপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোকাদ্দেছুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, ‘এই চর এলাকাতে যখন বন্যা হয়। তখন প্রচুর পরিমাণে পলি জমে। এই পলি জমায় বিশেষ করে শীতকালীন যে বেগুন, টমেটো, মরিচ, আলু এগুলো খুব ভালো পরিমাণে হয়। যেহেতু এ বছর বন্যা হয় নাই। সেহেতু আমাদের পরামর্শ হলো কৃষকেরা যাতে কৃষি বিভাগের সঙ্গে আলাপ করে পরিমিত পরিমাণে সার এবং পরিমিত পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।’

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে সহনশীল কৃষি পদ্ধতি, সবুজায়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি