উপজেলা আনসার ও কোম্পানি কমান্ডার মো. নুরুল আমিন বলেন, “উনি আমাদের পরিবারের একজন। অসুস্থ থাকার পরও এতদিন আমাদের জানাতে পারেননি। আমরা তার পাশে আছি, এবং সামনে আরও সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।” পাশাপাশি সমাজের বৃত্তবানদের এগিয়ে আশার আহ্বান করেন তিনি।
ঝিনাইগাতীতে আনসার সদস্য আনসার আলীর মানবেতর জীবনযাপন
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কোনও বেলা খেয়ে, কোনও বেলা না খেয়ে… অনাহারে-অর্ধহারে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ ব্যক্তি মো. আনসার আলী। মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের এই মানুষটি একসময় ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিবেদিতপ্রাণ সদস্য।
জানা গেছে, ১৯৯২ সালে তিনি আনসার বাহিনীতে প্রশিক্ষণ নিয়ে সদস্য পদ লাভ করেন মো. আনসার আলী । দীর্ঘদিন উপজেলায় বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তিনি অসীম সাহসিকতা ও নিষ্ঠার উদাহরণ স্থাপন করেন।
কিন্তু বয়সের ভার আর দীর্ঘদিনের অসুস্থ থাকায় আনসার আলীকে আজ পৌঁছে দিয়েছে চরম দারিদ্র্য ও অনাহারের কষাঘাতে।
স্থানীয়রা জানান, ২০২৪ সালের ভয়াবহ পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যায় তার একমাত্র বসতঘর। তারপর থেকে তিনি আশ্রয় নিয়ে আছেন প্রয়াত তারই বড় ভাইয়ের জরাজীর্ণ এক ঘরে। স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে থাকা সত্ত্বেও সন্তানরা কেউই খোঁজ নেন না অসহায় এই বৃদ্ধ বাবার ফলে কোনও বেলা খেয়ে না খেয়ে অনাহারে অর্ধহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বৃদ্ধ আনসার আলী।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) মানবিক উদ্যোগে তার খোঁজ নিতে বাড়িতে আসেন উপজেলা আনসার কোম্পানি কমান্ডার মো. নুরুল আমীন। সঙ্গে ছিলেন আনসার সদস্যরাও।
মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে তিনি অসুস্থ আনসার আলীকে ৩০ কেজি চাল ও নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
উপজেলা আনসার ও কোম্পানি কমান্ডার মো. নুরুল আমিন বলেন, “উনি আমাদের পরিবারের একজন। অসুস্থ থাকার পরও এতদিন আমাদের জানাতে পারেননি। আমরা তার পাশে আছি, এবং সামনে আরও সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।” পাশাপাশি সমাজের বৃত্তবানদের এগিয়ে আশার আহ্বান করেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা ঘর, অভাব-অনটন এবং কর্মক্ষমতা হারিয়ে চিকিৎসাহীন জীবন কাটাচ্ছেন বৃদ্ধ আনসার আলী। “একসময় যিনি মানুষের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেছেন, আজ তিনিই অপেক্ষায় আছেন। ১টি বসত ঘর নির্মাণে। মনে আশা নিয়ে সমাজের দায়িত্বশীল মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন বৃদ্ধ আনসার আলী।
মন্তব্য