সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত সেনা সদস্যদের বাড়িতে শোকের মাতম

সর্বমোট পঠিত : 33 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

অপরদিকে নাটোরের লালপুর উপজেলার বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামে কর্পোরাল মাসুদ রানার বাড়িতেও চলছে স্বজনদের আহাজারি। ২০০৬ সালের ৭ জানুয়ারি সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া মাসুদ রানা মাত্র এক মাস আট দিন আগে সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে যান। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর থেকে বৃদ্ধ মা ছেলের নাম ধরে বিলাপ করছেন। শিশুকন্যাকে নিয়ে পাগলপ্রায় অবস্থায় স্ত্রী। সেনাবাহিনীর একটি দল ইতিমধ্যে তাঁর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছে।

সুদানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশের এলাকা।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাটমাধাই ডারারপাড়া গ্রামে সেনা সদস্য শহীদ শান্ত মন্ডলের বাড়িতে এখন শুধু স্বজনদের কান্না। ২৭ বছর বয়সী শান্ত মন্ডল সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর খবরে পরিবার ও প্রতিবেশীরা শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন।

একই জেলার উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের পারুলেরপাড় গ্রামে নিহত আরেক সেনা সদস্য মমিনুল ইসলামের বাড়িতেও চলছে শোকের মাতম। ৩৭ বছর বয়সী মমিনুল ইসলাম ২০০৭ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। 

শনিবার বিকেলে ভিডিও কলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। রাত ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছালে হতভম্ব হয়ে পড়েন স্বজনরা। শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী, মা ও ভাই-বোনেরা। প্রতিবেশীরাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না।

এদিকে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামে নিহত সেনাসদস্য জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে চলছে হৃদয়বিদারক দৃশ্য। মাত্র এক মাস আগে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে দেশ ছেড়েছিলেন তিনি। স্ত্রী রুবাইয়া আক্তার ও তিন বছরের ছেলে ইরফানকে রেখে সুদানের আবেই শহরে যান জাহাঙ্গীর আলম।

মৃত্যুসংবাদ পেয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী, কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা পরী বেগম। বাবার আদর কী, তা বোঝার আগেই বাবাহারা হলো ছোট্ট শিশু ইরফান। জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ পুরো এলাকা।

অপরদিকে নাটোরের লালপুর উপজেলার বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামে কর্পোরাল মাসুদ রানার বাড়িতেও চলছে স্বজনদের আহাজারি। ২০০৬ সালের ৭ জানুয়ারি সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া মাসুদ রানা মাত্র এক মাস আট দিন আগে সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে যান। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর থেকে বৃদ্ধ মা ছেলের নাম ধরে বিলাপ করছেন। শিশুকন্যাকে নিয়ে পাগলপ্রায় অবস্থায় স্ত্রী। সেনাবাহিনীর একটি দল ইতিমধ্যে তাঁর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছে।

সুদানের আবেই এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন। নিহত সেনা সদস্যদের মরদেহ দেশে ফেরানোর অপেক্ষায় এখন স্বজনেরা।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি