তারেক রহমানের ফেরার বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সর্বমোট পঠিত : 46 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

শফিকুল আলম বলেন, ‘এ ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে কোনো বিধিনিষেধ অথবা কোনো ধরনের আপত্তি নেই। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকারের কাছে নতুন কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি।

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনও জানিয়েছে, দেশে ফিরতে ট্রাভেল পাস ইস্যুর বিষয়ে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কেউ কিছু জানায়নি।

তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আপনাদের (সাংবাদিক) দেওয়ার মতো কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।’

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশে ফিরতে চাইলে একদিনের মধ্যেই তাকে ‘ওয়ান টাইম পাস’ দিতে পারবে সরকার। তিনি তখন বলেন, ‘এটাতে একদিন লাগে। কাজেই এটা উনি যদি আজকে বলেন যে, উনি আসবেন, আগামীকাল হয়তো আমরা এটা দিলে পরশুদিন প্লেনে উঠতে পারবেন। কোনো অসুবিধা নাই। এটা আমরা দিতে পারব।’

২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতা নেওয়া সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে আটক হয়ে ১৮ মাস কারাগারে থাকার পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান তারেক রহমান। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে পরিবারের সদস্যদেরকে সাথে নিয়ে ঢাকা ছাড়েন তিনি। এরপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর বিভিন্ন সময়েই তাঁর দেশে ফেরার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। সম্প্রতি তারেক রহমানের মা ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তা আরও জোরালো হয়। দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন।

গত মঙ্গলবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর তারেক রহমান দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন।

বিএনপির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে মির্জা ফখরুলকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর তারেক রহমান দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন। পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে শিগগিরই দেশে ফিরবেন তিনি।’

এর আগে গত শনিবার সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বর্তমান সংকটকালে মায়ের স্নেহস্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষার কথা জানান তারেক রহমান। তবে তিনি এ-ও জানান, দেশে ফেরার ক্ষেত্রে তাঁর একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ সীমিত।

তারেক রহমান বলেন, ‘এমন সংকটকালে মায়ের স্নেহ স্পর্শ পাবার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যেকোনো সন্তানের মতোই আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সকলের মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। স্পর্শকাতর এই বিষয়টি বিস্তারিত বর্ণনার অবকাশও সীমিত। রাজনৈতিক বাস্তবতার এই পরিস্থিতি প্রত্যাশিত পর্যায়ে উপনীত হওয়া মাত্রই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমার সুদীর্ঘ উদ্বিগ্ন প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে বলেই আমাদের পরিবার আশাবাদী।’

অবশ্য এরপরপরই প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক ফেসবুক পোস্টে জানান, তারেক রহমানের দেশে আসার বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ নেই।

শফিকুল আলম বলেন, ‘এ ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে কোনো বিধিনিষেধ অথবা কোনো ধরনের আপত্তি নেই। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।’

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি