সেন্টমার্টিনের পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন, ডিম দিচ্ছে কাছিম 

সর্বমোট পঠিত : 49 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

বন্যপ্রাণী গবেষক ড. রেজা খান বলেন, ‘একটি চমৎকার ইকোসিস্টেম এটি নিজে তৈরি করেছে। সেটাকে নিজে নিজেই বেড়ে উঠতে দেওয়া উচিত। এখানে মানুষের হাত দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।’ 

পর্যটকের চাপ না থাকায় সেন্টমার্টিনের পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। মৌসুম শুরু হতে না হতেই ডিম দিয়েছে সামুদ্রিক কাছিম। গবেষকেরা বলছেন, সৈকত জুড়ে আলো ও হৈ হুল্লড় না থাকায় বেড়েছে কাছিমের আনাগোনা। 

এ বছর টানা আট মাস পর্যটকদের আনাগোনা না থাকায় বেশ স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ছে সেন্টমার্টিন। দ্বীপের সবুজ প্রকৃতি আরও ঘন হয়েছে। নিরিবিলি পরিবেশ পেয়ে রাত হলেই জলপাই রংয়ের কাছিম ডিম দিতে আসে সৈকতে। 

সাধারণত দক্ষিণ পাড়ার এ অংশে প্রতিবছর কাছিম আসে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে। তবে এ বছর নভেম্বরেই ফিরেছে। মৌসুমের প্রথম ডিম সকাল হতেই সংগ্রহ করে হ্যাচারিতে আনা হয়। হ্যাচারিতে ৫০ থেকে ৬০ দিন থাকার পর বাচ্চা কাছিম বেরিয়ে আসবে।
  
সেন্টমার্টিন মেরিন পার্ক কাছিম সংরক্ষণ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক জাকির হোসেন বলেন, ‘এ বছর একটু আগেই এসেছে কচ্ছপ। আগে ডিস্টার্ব জাতীয় সমস্যা ছিল। এগুলো কমে গেছে।’  
 
সেন্টমার্টিনের সবশেষ দক্ষিণ অংশ ছেঁড়াদিয়া। জোয়ারের সময় মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও ভাটায় ফুটে ওঠে প্রকৃত রূপ। গত ১০ মাসে এখানে বহিরাগতদের আনাগোনা না থাকায় প্যারাবন সেজেছে অপরূপ সাজে।  

বন্যপ্রাণী গবেষক ড. রেজা খান বলেন, ‘একটি চমৎকার ইকোসিস্টেম এটি নিজে তৈরি করেছে। সেটাকে নিজে নিজেই বেড়ে উঠতে দেওয়া উচিত। এখানে মানুষের হাত দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।’ 

সেন্টমার্টিনের এই অংশ পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে, পয়লা নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য সেন্টমার্টিন উন্মুক্ত করা হলেও রাত্রিযাপনে বিধিনিষেধ থাকায় পর্যটক খুব একটা আসেনি। 

১ ডিসেম্বর থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত রাত্রিযাপনের অনুমতি দেয়া হলেও মানতে হবে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ। সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি বা বারবিকিউ পার্টি নিষিদ্ধ। কেয়া বনে প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ-বিক্রিসহ ১২টি শর্ত মেনে চলতে হবে পর্যটকদের।  

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি