১৭ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় 

১৭ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় 
সর্বমোট পঠিত : 27 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

আগামী ১৭ নভেম্বর সোমবার ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধেও একই মামলায় এদিন রায় দেয়া হবে। তবে সাবেক আইজিপি মামুন দায় স্বীকার করে এরই মধ্যে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। 

১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায়ের এ তারিখ ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। 

সাবেক আইজিপি মামুনকে ১৩ নভেম্বর কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তবে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান পলাতক রয়েছেন। 

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদসহ অন্যরা।

রায়ের তারিখ ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অপরাধের দায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা চায় রাষ্ট্রপক্ষ। দূষ্টান্তমূলক রায়ের মাধ্যমে দেশের মানবতাবিরোধী অপরাধের ন্যায় বিচার হবে বলে প্রত্যাশা।

তিনি বলেন, বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করতে বিচ্ছিন্নভাবে যে নাশকতাই করা হোক, কোনো প্রভাব আদালতে পড়বে না। কেউ সন্ত্রাস করার চেষ্টা করলে রাষ্ট্র কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

আর শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, তার আসামি খালাস পাবেন বলে প্রত্যাশা তার। সাবেক আইজিপি নিজেকে বাঁচাতে অন্যদের ওপর দায় চাপিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এরআগে গত ২৩ অক্টোবর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। ওইদিনই ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়।

আন্দোলন ঘিরে হত্যাকাণ্ডসহ মোট পাঁচ অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

শেখ হাসিনার মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ মোট ৮১ জনকে সাক্ষী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। তাদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ৫৪ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন।

মনাবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তিন আসামির বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, নির্যাতন, ষড়যন্ত্র, উসকানি ও ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়–এই পাঁচটি অভিযোগে বিচার হয়েছে। অভিযোগগুলো হলো– গণভবনের সংবাদ সম্মেলনে উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে চালানো হত্যাকাণ্ড, হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ, রংপুরে ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা, চানখাঁরপুলে হত্যা এবং আশুলিয়ায় হত্যা ও লাশ পোড়ানো।

শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গত কদিন ধরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত। আজ ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নানা পক্ষে নাশকতা মোকাবিলায় কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি