অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকা, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন। সকলেই ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় স্যারকে বিদায় জানান। প্রধানশিক্ষক হিসেবে স্যার ছিলেন অসামান্য। কঠিন ভাষাকে সহজভাবে উপস্থাপন করে শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা সৃষ্টি করতে পেরেছেন তিনি।
সানন্দবাড়ীতে প্রধান শিক্ষক রইচ উদ্দিনের বিদায়ী সংবর্ধনা
অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মাননা স্মারক ও শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়।
রশীদুল আলম শিকদার: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী সবুজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রইচ উদ্দিনের দীর্ঘ দিন শিক্ষকতা জীবনের ইতি টেনে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর গ্রহণ করেছেন। এ উপলক্ষে বুধবার (২৯ অক্টোবর ) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক আবেগঘন বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চরআমখাওয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক নুরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা সুলতানা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ খুরশিদ আলম চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা ইনস্ট্রাক্টর ইউ,আর,সি মহির উদ্দিন, চরআমখাওয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম মাস্টার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান, চরআমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম, তারাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হালিম, মশিউর রহমান, মোঃ বাহাদুর আলী, আল-আমিন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মোঃ শহীদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকা, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন। সকলেই ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় স্যারকে বিদায় জানান। প্রধানশিক্ষক হিসেবে স্যার ছিলেন অসামান্য। কঠিন ভাষাকে সহজভাবে উপস্থাপন করে শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা সৃষ্টি করতে পেরেছেন তিনি।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, “স্যারের কোমল হৃদয়, সদা হাস্যোজ্জ্বল মুখ, সহানুভূতিপূর্ণ আচরণ এবং কর্তব্যনিষ্ঠা আমাদের সবসময় অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি ছিলেন শুধুমাত্র শিক্ষক নন, আমাদের কাছে একজন প্রকৃত অভিভাবকের মতো।”
বিদায়ী বক্তব্যে মোঃ রইচ উদ্দিন বলেন,“আমি সবসময় চেষ্টা করেছি আমার শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা দিতে, তাদের সঠিক পথে চলতে শেখাতে। আজ এই ভালোবাসা ও সম্মান আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মাননা স্মারক ও শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে আবেগঘন পরিবেশে অনেক শিক্ষার্থী চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।
উল্লেখ্য এর আগে দুই শিক্ষক মৃত্যুবরণ করায় তাদের বিদায় অনুষ্ঠান হয়নি বরং আজকে মরহুম আবু তাহের ও মরহুম আব্দুল কাদের এর পরিবারের হাতে বিদায়ী সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
সবশেষে সবার মুখেই একটাই কথা—“স্যার, আপনি ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন— আমাদের হৃদয়ের মণিকোঠায়।”
মন্তব্য