হাসপাতালে বসেই চলছে অবাধ মাদক সেবন

সর্বমোট পঠিত : 21 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ছিনতাইয়ের ঘটনা বন্ধের জন্য আমরা আন্তরিক। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করছি। দালাল এবং মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিয়ে পত্র লিখেছি। আশাকরি রেগুলার তারা অভিযান পরিচালনা করবে। যখন অভিযান পরিচালনা করে তখন উৎপাত কমে যায়, আবার যখন অভিযান বন্ধ হয় তখন আবার উৎপাত বেড়ে যায়।’


শেরপুরের ২৫০শয্যার জেলা সদর হাসপাতালটি এখন পরিণত হয়েছে মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যে। দুষ্কৃতকারীরা হাসপাতালের ওয়ার্ডে বসে প্রকাশ্যে মাদক সেবন করে। হাসপাতাল থেকে জোর করে বিভিন্ন প্রকার ঔষধ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এমনকি বাধা দিতে গেলেই জীবননাশের হুমকিসহ শারিরিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় দায়িত্বরতদের।

মোবাইলে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালে বসে প্রকাশ্যে মাদক গ্রহণ করেছে স্থানীয় মাদকসেবী বখাটেরা। কর্তব্যরতদের অভিযোগ, মাদক সেবনে বাধা দিতে গেলেই শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় কর্তব্যরতদের।

হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করা একজন ওয়ার্ড বয় বলেন, ‘এই এলাকায় অনেক মাদকসেবী আছে, যারা সবসময় এখানে যাতায়াত করে। তাদেরকে আমরা কিছু বলতে পারিনা। তাদেরকে আটকালেই তারা রাস্তায় আমাদের মারধর করে। তারা বলে, আজকে এতো টাকা দিতে হবে, তা-না হলে অফিসে আইতে পারবিনা। বাড়িতে যেতে পারবিনা। টাকা না দিতে চাইলে শরীরে হাতও তুলে। এখানে আমাদের কোন নিরাপত্তা নাই।’

হাসপাতালটির একজন নার্স বলেন, ‘মেয়েদেরও নাইট ডিউটি করতে হয়। তখন ওরা এসে আমাদের কাছে সিরিঞ্জ চায়, তখন মেয়েরা ভয় পায়। মেইন কথা হচ্ছে আমাদের সিকিউরিটি দরকার। এখানে যে ওয়ার্ড বয় মামারা আছে, তারাও তো পারেনা।’

এই নার্স আরও বলেন, ‘সিরিঞ্জ নেয়, মেয়েদের সাথে কথা বলে, ফোন নাম্বার চায়। বিরক্ত করে, রাতের বেলায়ই বেশী বিরক্ত করে। দালালদের সাথে তো আমাদের কথা হয়না। ওরা রোগীদের সাথে কথা বলে, বাইরে নিয়ে যায়। হাসপাতালের ডেস্কে মেডিসিন থাকে, ওই মেডিসিনেই ওদের আগ্রহ।’

এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে স্থানীয় সেচ্ছা-সেবীরা।

বখাটেদের দমনে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে চিঠি দিয়েই দায়িত্ব সারছেন হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক।

২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ছিনতাইয়ের ঘটনা বন্ধের জন্য আমরা আন্তরিক। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করছি। দালাল এবং মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিয়ে পত্র লিখেছি। আশাকরি রেগুলার তারা অভিযান পরিচালনা করবে। যখন অভিযান পরিচালনা করে তখন উৎপাত কমে যায়, আবার যখন অভিযান বন্ধ হয় তখন আবার উৎপাত বেড়ে যায়।’

প্রতিদিন গড়ে এই হাসপাতালে এক হাজারেও বেশি রোগী চিকিৎসা সেবা নেন। এলাকাবাসীরা জানান, মাদকসেবীদের তাড়াতে না পারলে হসপাতালের পরিবেশ আরও নষ্ট হবে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি