মোংলায় পৌর যুবলীগের দুই নেতার অসাংগঠনিক কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সর্বমোট পঠিত : 61 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

মেয়াদ উত্তীর্ণ বিতর্কিত মোংলা পোর্ট পৌর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের অসাংগঠনিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যুবলীগ নেতা ওবায়দুল ইসলাম হিমেল।


মেয়াদ উত্তীর্ণ বিতর্কিত মোংলা পোর্ট পৌর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের অসাংগঠনিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যুবলীগ নেতা ওবায়দুল ইসলাম হিমেল।

২৭ নভেম্বর রবিবার দুপুরে মোংলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওবায়দুল ইসলাম হিমেল বলেন, ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধু আদর্শ বুকে লালন করে আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আছি। খুলনার বিএল কলেজে পড়াশোনা করার সুবাদে আমি ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলাম। বিএল কলেজে শিক্ষা জীবন শেষ করে ব্যবসার প্রয়োজনে ঢাকায় অবস্থান করি এবং পরবর্তীতে ঢাকা উত্তরের অন্তর্গত বাড্ডা থানা যুবলীগের রাজনীতিতে নিয়মিত অংশগ্রহণের কারনে বাড্ডা থাকা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ আমার কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট হয়ে আহ্বায়ক কমিটিতে আমাকে সদস্য পদ প্রদান করে। সেই থেকে আমি বাড্ডা থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বর্তমানে আমার জন্মভূমি মোংলাতে ব্যবসায়ের সুবাদে অবস্থানকালীন সময়েও আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছি।

কিন্তু মোংলায় আমার জনপ্রিয়তা দেখে ঈর্ষান্নিত একটু কুচক্রী মহল সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য গত ১১ নভেম্বর মোংলা পৌর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের স্বাক্ষর করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। যেটি আমার নজরে আসে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমি মোংলা পৌর যুবলীগ এবং ৯টি ওয়ার্ড কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত নই। অথচ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের গঠনতন্ত্রে কোথাও লেখা নাই যে, তালিকার বাইরে কেউ যুবলীগ করে না।

সুতরাং আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন যুবলীগের মাঠ পর্যায়ের একজন সৈনিক।

সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল ইসলাম হিমেল আরো বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ মোংলা পৌর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক আমার জনপ্রিয়তা দেখে আমাকে সমাজের চোখে হেয় করার জন্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। তাদের এমন আচরণ আওয়ামী যুবলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী যা দলে ঐক্যের বদলে বিভাজন তৈরী করে।

আমি যদি ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে নিজেকে যুবলীগের সদস্য দাবি করি তাহলে মোংলায় আরো অনেকেই আছে যারা পৌর যুবলীগের কোন সদস্য পদে নেই কিন্তু ব্যানার ফেস্টুন শহরে ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের যুবলীগ দাবি করে তাদের বিষয়ে সভাপতি সম্পাদকের কোন মাথা ব্যাথা নেই। শুধু আমাকে নিয়েই তাদের সমস্যা।

আমার জনপ্রিয়তাই এখন তাদের জন্য ভয়ের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার বিরুদ্ধে সকল অপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আমি রাজনীতির মাঠে ছিলাম, আছি এবং থাকবো।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি