প্রবল বন্যায় সুনামগঞ্জের সুরমা নদীতে আটকে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর একটি টিম তাদের নিয়ে সিলেট ক্যান্টনমেন্টের দিকে রওনা দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ।
আটকে পড়া শতাধিক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী
প্রবল বন্যায় সুনামগঞ্জের সুরমা নদীতে আটকে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর একটি টিম তাদের নিয়ে সিলেট ক্যান্টনমেন্টের দিকে রওনা দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ।
এ ছাড়া আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শোয়াইব আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, গতকাল শনিবার রাতে শিক্ষার্থীরা যখন আটকে গিয়েছিল, আমি জানতে পেরে সেনাবাহিনীর আইএসপিআর জাহিদ মালেক, সুনামগঞ্জ ক্যান্টনমেন্টের রেসকিউ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শওকত ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলে উদ্ধারের জন্য অনুরোধ করি। তারা আজ রোববার সকালে সেখানে সেনাবাহিনীর একটি টিম পাঠান। কিছুক্ষণ আগে (বেলা সাড়ে ১১টার দিকে) তাদের উদ্ধার করে সুনামগঞ্জের ছাতকে নিয়ে আসে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) থেকে জানানো হয়েছে, ছাতক থেকে ওই শিক্ষার্থীদের বর্তমানে সিলেট ক্যান্টনমেন্টে আনা হচ্ছে।
এর আগে শনিবার দুপুর দুইটার দিকে পুলিশ লাইন্স থেকে ‘কপোতাক্ষ অনির্বাণ ট্যুরিজম বোট’ নামের একটি লঞ্চে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫ জন ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীসহ শতাধিক শিক্ষার্থী সিলেট শহরের দিকে রওনা করেন। কিন্তু রাত সাড়ে আটটার দিকে লঞ্চের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেলে তারা সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সংলগ্ন সুরমা নদীর চরে আটকা পড়েন। পরে তারা ছাতক ফেরি ঘাটে নোঙর করেন। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সুনামগঞ্জ ভ্রমণে গিয়ে বন্যায় আটকা পড়েন ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী। পরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তাদের পানসী রেস্তোরাঁ থেকে উদ্ধার করে গত শুক্রবার বিকেলে জেলা পুলিশ লাইন্সে নেওয়া হয়।
মন্তব্য