সিলেটে সরকারি চাকরি থেকে আগাম অবসর চেয়ে শতাধিক আবেদন 

সর্বমোট পঠিত : 28 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

এ বিষয়ে সিলেটের সিভিল সার্জন মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘২০২২ সালে ১৬ জনকে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক কারণে অক্ষম ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে ১৫ জনকে অক্ষম ঘোষণা করা হয়। ২০২৪ সালে অক্ষম ঘোষণা করা হয়েছিল ২৫ জনকে।’ 

মানসিক ও শারীরিক অক্ষমতা দেখিয়ে সিলেটে সরকারি চাকরি থেকে আগাম অবসর চাইছেন অনেক চাকরিজীবী। গত ২ বছরে বিভিন্ন স্তরের শতাধিক আগাম অবসরের আবেদন জমা পড়েছে।

বিশিষ্টজনরা বলছেন, বিদেশে স্থায়ী হওয়া, পদোন্নতির সুযোগ কমে যাওয়াসহ চাকরির প্রতি অনাস্থা থেকেই বাড়ছে এই প্রবণতা।

সরকারি চাকরিতে ২৫ বছর পর স্বেচ্ছা অবসরের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এর আগে চাকরি ছাড়তে চাইলে দরকার হয় শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতার প্রমাণপত্র। সিলেটে ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দপ্তরের ১১০ জন আগাম অবসরের আবেদন করেছেন। এরমধ্যে ২০২৪ সালেই করেছেন ৫২ জন। যাদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ, শিক্ষকসহ অন্য দপ্তরের চাকরিজীবীরা।

এ বিষয়ে সিলেটের সিভিল সার্জন মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘২০২২ সালে ১৬ জনকে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক কারণে অক্ষম ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে ১৫ জনকে অক্ষম ঘোষণা করা হয়। ২০২৪ সালে অক্ষম ঘোষণা করা হয়েছিল ২৫ জনকে।’ 

প্রার্থীর আবেদনে উল্লেখিত অক্ষমতা সঠিক কিনা তা যাচাই বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ধরন অনুযায়ী গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড।

বিষয়টি নিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক বদরুল আমিন বলেন, ‘আবেদনের ধরণ অনুসারে; আবেদনকারীর যে ধরনের শারীরিক বা মানসিক সমস্যা এটার জন্য কোন কোন বিভাগের ডাক্তার অথবা অধ্যাপকদের মতামত লাগবে, ওই ভিত্তিতে আমরা কমিটি করে দেই।’  

এমন অবসরের কারণ হিসেবে বিদেশে স্থায়ী হওয়ার প্রবণতা, পদোন্নতির সুযোগ কমে যাওয়া এবং ব্যক্তিগত ব্যবসা কিংবা বিনিয়োগে আর্থিক নিরাপত্তা খুঁজে নেওয়াকেই প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন বিশিষ্টজনরা। 

সুশাসনের জন্য নাগরিকের সহ-সভাপতি অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম বলেন, ‘যেসব প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে জনবল কম সেসব ক্ষেত্রে যখন কেউ আগাম অবসরে যাচ্ছেন, এতে সেবাদানের জায়গায় বড় ধরনের একটা গ্যাপ তৈরি হচ্ছে।’ 

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বদরুল আলম শিপন বলেন, ‘যারা অন্যায় বা অবৈধভাবে বিভিন্ন ডকুমেন্টস দিয়ে জাল–জালিয়াতির মাধ্যমে আবেদন করে থাকেন– যেগুলো আবার অনুমোদিত হয় না সেটা নিশ্চয়ই একটা ফৌজদারি অপরাধ।’ 

ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে কেউ যেন এই সুযোগ নিতে না পারে, সেজন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি