মধ্যরাত থেকে ইলিশ শিকারে নামবেন মোংলা সুন্দরবন উপকূলের জেলেরা

মধ্যরাত থেকে ইলিশ শিকারে নামবেন মোংলা সুন্দরবন উপকূলের জেলেরা
সর্বমোট পঠিত : 116 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, আমাদের সমুদ্রসীমায় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর টহল বাড়ানেরা জন্য ইতিমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারপরও যারা এদেশের সাগরে যখনই ঢুকছেন তখনই তাদেরকে ধরে এনে পুলিশে সোপর্দ করছেন নৌবাহিনী-কোস্ট গার্ড সদস্যরা।

নিরাপদে ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ২২দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ সোমবার ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে নদী ও সাগরে ইলিশ শিকারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মোংলা ও সুন্দরবন উপকূলের জেলেরা। গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন মোংলা ও সুন্দরবন উপকূলের নদ-নদীতে ইলিশ আহরণ বন্ধ। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সোমবার (২৫ অক্টোবর) শেষ হচ্ছে সরকার ঘোষিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। তাই বিরতি শেষে আবারও নদীতে ইলিশ ধরতে  মুখিয়ে রয়েছেন জেলেরা।

মোংলা উপজেলার জয়মনি, চিলা, কানাইনগর এলাকার প্রায় ৮ শতাধিক জেলে ইলিশ মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ইতোমধ্যে নদীতে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিতে জেলেরা তাদের নৌকা মেরামতের পাশাপাশি পুরনো জাল সেলাই করছেন। সময় হলেই নেমে পড়বেন রুপালী ইলিশের সন্ধানে। ইলিশ মৌসুমের প্রথম ধাপে জেলে ও ফিশিং বোট মালিকেরা সকলেই আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রত‍্যেকের প্রত‍্যাশা এবার বেশী লক্ষমাত্রা ইলিশ শিকারের। জেলেদের ধারণা ভারতীয় ট্রলার যদি অনুপ্রবেশ না করে তাহলে হয়তো গতবারের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে। কানাইনগর জেলে সমিতির সাধারন সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার বলেন, বিগত বছরের চেয়ে এবার বৃষ্টি কিছুটা বেশি হয়েছে, তবে সাগর ছেড়ে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর দিকে ইলিশের ঝাঁক আসার মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়নি। যে কারণে নদ-নদীতে এবছর  ইলিশের কিছুটা আকাল দেখা দিয়েছে।

অপরদিকে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে ভিনদেশী জেলেরা এদেশের সাগরের মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছেন এমন অভিযোগ করেছেন মোংলার স্থানীয় জেলেরা। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা  জাহিদুল ইসলাম বলেন, জেলেদের অভিযোগ সঠিক। এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সাথে আলাপ হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছেন। এবং আমরা কোস্ট গার্ডের সাথে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, আমাদের সমুদ্রসীমায় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর টহল বাড়ানেরা জন্য ইতিমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারপরও যারা এদেশের সাগরে যখনই ঢুকছেন তখনই তাদেরকে ধরে এনে পুলিশে সোপর্দ করছেন নৌবাহিনী-কোস্ট গার্ড সদস্যরা।


মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি