শেরপুর জেলা ফুটবল লীগে আদিবাসী ক্লাব সেমিফাইনালে।

শেরপুর জেলা ফুটবল লীগে আদিবাসী ক্লাব সেমিফাইনালে।
সর্বমোট পঠিত : 273 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

পেনাল্টি শ্যুটআউটে চলন্তিকার মিনহাজ, ফাহাদ মিয়া, হাবিজুর গোল করলে রেহান মিয়া ও আতিকের শট আদিবাসী ক্লাবের গোলকিপার ধরে ফেলেন। কিন্তু আদিবাসী ক্লাবের অংশ রেমার শট গোলবারে ফিরলেও তন্ময় চিরান, আহ্বান চিরান, জেসিল থিগিদী এবং গোলকিপার সক্রেটিস রেমা গোল করলে ৪-৩ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আদিবাসী ক্লাব।

শেরপুরে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ জেলা ফুটবল লীগে প্রথমবার খেলতে নেমেই একের পর এক চমক দেখিয়ে আদিবাসী ক্লাব ঝিনাইগাতী পর পর খেলায় জয় নিয়ে প্রথম দল হিসেবে পৌঁছে গেছে সেমিফাইনালে।

শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে ২৪ অক্টোবর রবিবার গ্রæপ পর্বের শেষ খেলায় প্রথমে পিছিয়ে পড়েও আদিবাসী ক্লাব টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে চলন্তিকা ক্রীড়া সংঘকে। নির্ধারিত সময়ে খেলাটি ২-২ গোলে অমিমাংসিত ছিলো। খেলার ১৮ মিনিটের মাথায় চলন্তিকার ফরোয়ার্ড রেহান মিয়া রায়হান জমাট একটি আক্রমণ থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। এরপর দুই দলের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে তীব্র প্রতিদ্বন্ধীতাপূর্ণভাবে খেলাটি জমে ওঠে। কিন্তু আর কোন গোল না হওয়ায় ১-০ গোলের লীড নিয়েই বিরতিতে যায় চলন্তিকা ক্রীড়া সংঘ।

কিন্তু বিরতি থেকে ফিরে এসে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে প্রতিপক্ষের ওপর আক্রমষ শানাতে থাকে আদিবাসী ক্লাব। এর ফলও তার পায়। খেলার ৫৫ মিনিটে মিডফিল্ডার তন্ময় চিরান গোল করলে খেলায় ১-১ গোলে সমতা ফিরে আসে। এমনকি ৭৭ মিনিটে ফরোয়ার্ড তৃপ্ত খকশী গোল করলে ২-১ গোলের লীডও নেয় আদিবাসী ক্লাব। কিন্তু ৮১ মিনিটে কর্ণার কিক থেকে ওড়ে আসা বল প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের জটলায় পাওয়া বল চলন্তিকার মিডফিল্ডার হাফিজুর রহমান কিক করে জালে জড়ালে ২-২ গোলে আবারো খেলায় সমতা ফিরে আসে।

খেলা যখন নিশ্চিত ড্রয়ের পথে ইনজুরি টাইমে চলন্তিকার ডি-বক্সে এক ডিফেন্ডারের হ্যান্ডবল হলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি গোলাম শাহরিয়ার রবীন। কিন্তু আদিবাসী ক্লাবের তন্ময় চিরান গোল পোস্টের ওপর দিয়ে পেনাল্টি শটটি মেরে নিশ্চিত গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করলে নির্ধারিত সময়ে খেলা ২-২ গোলের সমতায় শেষ হয়।

পরে পেনাল্টি শ্যুটআউটে চলন্তিকার মিনহাজ, ফাহাদ মিয়া, হাবিজুর গোল করলে রেহান মিয়া ও আতিকের শট আদিবাসী ক্লাবের গোলকিপার ধরে ফেলেন। কিন্তু আদিবাসী ক্লাবের অংশ রেমার শট গোলবারে ফিরলেও তন্ময় চিরান, আহ্বান চিরান, জেসিল থিগিদী এবং গোলকিপার সক্রেটিস রেমা গোল করলে ৪-৩ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আদিবাসী ক্লাব।

ডিএফএ কর্মকর্তারা জানান, গত ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ শেরপুর জেলা ফুটবল লীগের খেলা। এবারের জেলা ফুটবল লীগে ১৬টি ক্লাব/সংস্থার দল ৪টি গ্রুপে ভাগ হয়ে লীগভিত্তিতে প্রতিদ্বন্ধিতা করছে। লীগের স্পন্সর হয়েছে জেএন্ডএস গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আবেদীন হাসপাতাল।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি