শেরপুরে হাতি তাড়ানো প্রকল্প: কাজ হয়নি কিছুই, লুটপাটের অভিযোগ

সর্বমোট পঠিত : 44 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

ময়মনসিংহের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দ্রুতই এটি সামাজিকভাবে জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।’

শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণ থেকে জানমাল রক্ষায় কোন কাজেই আসেনি সোয়া ২ কোটি টাকার প্রকল্প। উল্টো হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বে ১০ বছরে প্রাণ হারিয়েছে ৩৬ জন মানুষ, মারা গেছে ৩৫টি হাতি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, যতটুকু কাজের কথা বলা হয়েছে সেখানেও ব্যবহার হয়েছে নিম্ন মানের সরঞ্জাম। এসব প্রকল্প মুলত লোক দেখানো এবং লুটপাটের বলে মন্তব্য বিশিষ্টজনদের। 

শেরপুরের ভারত সীমান্তবর্তী শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীতে গারো পাহাড়ে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। ক্ষতি কমাতে ২০১৭ সালে সোলার ফেন্সিং প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন সরকার। 

প্রথম ধাপে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকায় ১১ কিলোমিটার বৈদ্যুতিক বেড়া নির্মাণ করা হলেও, নিম্নমানের মালামালের কারণে শুরুতেই অকার্যকর হয়ে পড়ে তা। ২০২২ সালে আবারো ১০ কিলোমিটার বেড়া নির্মাণ করা হয় ১ কোটি টাকায়। যা কোন কাজেই আসেনি।

পরিবেশবাদী সংগঠন ‘সাঈন’ শেরপুরের নির্বাহী পরিচালক মুগনিউর রহমান মনি বলেন, ‘রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় এবং ক্রটিপূর্ণ এ সোলার ফ্যান্সিং প্রকল্প গ্রহণ করায় এটা সফল হয়নি। গচ্চা গেছে পুরো প্রকল্পের টাকা।’

বিশিষ্টজনরা বলছেন, হাতি তাড়ানো প্রকল্পের নামে হয়েছে লুটপাট। 

এসব অনিয়মের বিষয় খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে বন বিভাগ।

ময়মনসিংহের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দ্রুতই এটি সামাজিকভাবে জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।’

বন বিভাগের হিসাবেই হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বে গত ১০ বছরে নিহত হয়েছে ৩৬ জন মানুষ এবং মারা গেছে ৩৫টি হাতি। এর বাইরে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি