বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রের পরিবর্তন চাই, সংস্কার চাই। তার মানে এই না দেশের মানুষ যা বোঝে না, যেটা চাই না সেটা চাপিয়ে দেওয়া যাবে। বিদেশ থেকে কিছু পণ্ডিত এসে রিফর্ম কশিমন বসিয়ে সাধারণ মানুষ যেটা বোঝে না সেটা দিয়ে দিল। আর সরকার সেটা বাস্তবায়ন করছে। এটা হতে পারে না। সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন ঠিক হওয়ার জন্য। দেশের চলমান পরিস্থিতি বর্তমান সরকারকেই ঠিক করতে হবে। কারণ এটি সরকারের দায়িত্ব, রাজনৈতিক দলগুলোর নয়।’
নির্বাচন ফেব্রুয়ারির এক ইঞ্চি পেছনে গেলেও মানুষ মানবে না: মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা বারবার নির্বাচন দেওয়ার কথা বলছি কারণ নির্বাচন ছাড়া দেশে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়। কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনকে শুধু পেছাতে চায়, কারণ তারা নির্বাচনকে ভয় পায়। আমাদের পরিষ্কার কথা নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই দিতে হবে, এক ইঞ্চিও পিছনে গেলে এ দেশের মানুষ তা মানবে না। এ দেশের মানুষ নির্বাচন পেছাতে দেবে না।’
রোববার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ভাউলারহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রায়পুর ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রের পরিবর্তন চাই, সংস্কার চাই। তার মানে এই না দেশের মানুষ যা বোঝে না, যেটা চাই না সেটা চাপিয়ে দেওয়া যাবে। বিদেশ থেকে কিছু পণ্ডিত এসে রিফর্ম কশিমন বসিয়ে সাধারণ মানুষ যেটা বোঝে না সেটা দিয়ে দিল। আর সরকার সেটা বাস্তবায়ন করছে। এটা হতে পারে না। সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন ঠিক হওয়ার জন্য। দেশের চলমান পরিস্থিতি বর্তমান সরকারকেই ঠিক করতে হবে। কারণ এটি সরকারের দায়িত্ব, রাজনৈতিক দলগুলোর নয়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এক বছর থেকে চলমান সংস্কারের অনেক বিষয়ে আমরা একমত হয়েছিলাম। বৃষ্টির ছাতা নিয়ে সনদে স্বাক্ষর করেছি। সেখানে দেখা যায় আমরা যেটা দিয়েছি তার সবগুলো নেই। এটা সরকার আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে সরকার।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, ‘১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশে প্রথম আসার কয়েকদিন পরে বলেছিল এ দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। এখন হাসিনা সেই কাজটি করছে। অত্যাচারী শেখ হাসিনা দেশে দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। এখন ভারতে বসে দেশের জন্য ষড়যন্ত্র করছে। ভারতে বসে দেশে লকডাউন দেওয়ার কথা বলছে। তিনি নিজে লকডাউন হয়ে আছেন ভারতে।’
শেখ হাসিনাকে সাইকো পেন্চ আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে পিটিয়ে বাহির করার পরেও এখন বলছে দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। শেখ হাসিনা মানসিক বিকারগ্রস্ত রোগী।’
এ সময় রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ আরও নেতাকর্মী।
মন্তব্য