বিআরটিএ ঢাকার অতিরিক্ত সচিব ও চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, রিসিভ করেছি ৩০৭ কোটি টাকা, এর মধ্যে আমরা ইনভেস্টমেন্টে গেছি। ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৮৮ কোটি টাকার বেশি আমরা ডিসপাস করেছি, ২০০০ হাজার চেক আমরা দিয়ে দিয়েছি। শেষ ৪ মাসে ৩০ কোটি ২৬ লাখ টাকা আমরা দিয়েছি। এসময় আমাদের যে আয় তার ৮১ শতাংশ।
সড়ক দুর্ঘটনায় বিআরটিএর ক্ষতিপূরণের তথ্য জানে না বেশিরভাগ মানুষ
সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পরিবারকে সহযোগিতা দিতে ২০২২ সালে ট্রাস্ট গঠন করে সরকার। ৩ বছরে ২ হাজার চেকের মাধ্যমে ৮৮ কোটি টাকার বেশি সহায়তাও দিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটির (বিআরটিএ)। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের এমন সহায়তা দেওয়ার তথ্যই জানেন না অনেকে। অথচ, এই তহবিলের বড় অংকের টাকা পড়ে আছে বিআরটিএর কাছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি ও বিআরটিএ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের এককালীন বড় অংকের টাকা সহায়তা দেয় সরকার। দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে প্রমাণসহ বিআরটিএ অফিসে আবেদন করতে হয়।
যাচাই-বাছাই শেষে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে এককালীন ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। আর দুর্ঘটনায় গুরুতর অঙ্গহানি হলে দেওয়া হয় ৩ লাখ টাকা এবং যারা চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভবনা থাকে তিনি পান ১ লাখ টাকা।
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে যারা আবেদন করেছেন তাদের অনেকে টাকা পেলেও নিয়ম অনুযায়ী সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগও করেছেন কেউ কেউ। তবে অনেকেই ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও কোথায় যোগাযোগ করতে হবে সে সম্পর্কে জানেন না।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের ২০ অক্টোবর পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৯২৫ পরিবারকে ৮৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা দিয়েছে বিআরটিএ। বোর্ডের তহবিলে এখনো আছে ২২০ কোটি টাকা।
বিআরটিএ ঢাকার অতিরিক্ত সচিব ও চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, রিসিভ করেছি ৩০৭ কোটি টাকা, এর মধ্যে আমরা ইনভেস্টমেন্টে গেছি। ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৮৮ কোটি টাকার বেশি আমরা ডিসপাস করেছি, ২০০০ হাজার চেক আমরা দিয়ে দিয়েছি। শেষ ৪ মাসে ৩০ কোটি ২৬ লাখ টাকা আমরা দিয়েছি। এসময় আমাদের যে আয় তার ৮১ শতাংশ।
সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তা পাওয়ার জন্য দরকার, গণমাধ্যমের খবরের কপি, মামলার নথি ও হাসপাতলে চিকিৎসার তথ্য বা মৃত্যুসনদ।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
মন্তব্য