স্থানীয়রা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ১৩ ভাষাভাষি ১৪টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাহাড়ি জাতিসত্তাদের বসবাস। এসব জাতি গোষ্ঠীদের রয়েছে ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব হিসেবে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, সাংক্রাই, পাতা। তবে এ উৎসবকে চাকমা সম্প্রদায় বিজু, মারমারা সাংগ্রাই, ত্রিপুরা বৈসু, তংচংগ্যারা বিষু, অহমিয়ারা বিহু, খুমিরা সাংক্রাই, সাঁওতালরা পাতা হিসেবে অভিহিত করে থাকলেও এর নিবেদন কিন্তু একই।
পানিতে ফুল ভাসিয়ে বাংলা পুরনো বছরকে বিদায় আদিবাসীদের





নদীতে ফুল নিবেদনের মধ্য দিয়ে বাংলার পুরনো বছরকে বিদায় দিয়েছে পাহাড়ের বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠীরা। পুরনো বছরের সব দুঃখ-কষ্ট ও গ্লানিকে মুছে ফেলে দিয়ে নতুন বছরের নব উদ্যোগের শুভ কামনা জানাতে বাংলা বর্ষের শেষ দুদিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন এ উৎসব পালন করে থাকে পাহাড়ে বসবাসরত পাহাড়ী সম্প্রদায়ের লোকজন।
শনিবার প্রথম দিন ফুল বিজুর দিনে উদযাপন কমিটির উদ্যোগে রাঙামাটিতে কেন্দ্রীয়ভাবে সকাল ৭টায় রাজ বন বিহার পূর্বঘাটে পানিতে ফুল নিবেদন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার, উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমাসহ অন্যরা। এ ছাড়া পৃথক পৃথকভাবে রাঙামাটিতে উৎসব মুখর পরিবেশে পানিতে ফুল নিবেদন করেছেন পাহাড়ী সম্প্রদায়ের লোকজন।
স্থানীয়রা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ১৩ ভাষাভাষি ১৪টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাহাড়ি জাতিসত্তাদের বসবাস। এসব জাতি গোষ্ঠীদের রয়েছে ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব হিসেবে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, সাংক্রাই, পাতা। তবে এ উৎসবকে চাকমা সম্প্রদায় বিজু, মারমারা সাংগ্রাই, ত্রিপুরা বৈসু, তংচংগ্যারা বিষু, অহমিয়ারা বিহু, খুমিরা সাংক্রাই, সাঁওতালরা পাতা হিসেবে অভিহিত করে থাকলেও এর নিবেদন কিন্তু একই।
তাই এ উৎসবটি আদিবাসী পাহাড়িদের শুধু আনন্দের নয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ের সামাজিক, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক, ঐক্য ও মৈত্রী বন্ধনের প্রতীকও বটে।
মন্তব্য