মোংলায় তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন 

সর্বমোট পঠিত : 68 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

সুন্দরবন উপকূলবর্তী উপজেলা শহর মোংলায় গত কয়েকদিনের তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ। দৈনন্দিন জীবনে পড়েছে বিরুপ প্রভাব। এপ্রিল মাসজুড়ে তাপদাহের দাপট চলতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের অন্যান্য এলাকায় বৃষ্টির দেখা মিললেও মোংলায় কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। তাপদাহের কারনে শিশু এবং বয়স্করা সবচেয়ে বেশি কাবু হয়ে পড়েছেন।


সুন্দরবন উপকূলবর্তী উপজেলা শহর মোংলায় গত কয়েকদিনের তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ। দৈনন্দিন জীবনে পড়েছে বিরুপ প্রভাব। এপ্রিল মাসজুড়ে তাপদাহের দাপট চলতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের অন্যান্য এলাকায় বৃষ্টির দেখা মিললেও মোংলায় কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। তাপদাহের কারনে শিশু এবং বয়স্করা সবচেয়ে বেশি কাবু হয়ে পড়েছেন।

মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ জানান, ১৬ এপ্রিল দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মোংলায়। ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৭ এপ্রিল তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটেছে। মোংলায় আগের মতো বড় বড় গাছ নেই, পুকুর ও খাল নেই। এসব কারণে বাতাসের সাথে আর্দ্রতা বহন করেনা। সবকিছু শুস্ক হয়ে যাওয়ায় গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।


​​​​​​​

মোংলা পৌরশহরের বিভিন্ন মার্কেটে দোকান খোলা থাকলেও তেমন কোন ক্রেতা চোখে পড়েনি। যানবাহনে বেশীভাগ অংশে দেখা যায় যাত্রী শূণ্য। দিনের বেলায় প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না। গরমে পানিশূন্যতাসহ নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হঠাৎ গরম বেড়ে যাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে ইজিবাইক ভ্যানচালকদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তীব্র গরমে পানিশূন্যতা কিংবা হিটস্ট্রোক হওয়ারও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। 

মোংলা শ্রমকল্যাণ রোডের ভ্যানচালক রফিকুল ইসলাম জানান, ঈদের পর থেকে প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ঠিকমতো গাড়ি চালাতে পারছি না। গরমের কারনে আয় অনেক কমে গেছে। আগে দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় করা যেত। এখন প্রচণ্ড গরমের কারণে সারা দিনে ৩০০ টাকা আয় করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। 

বালুর মাঠ এলাকার নির্মাণ শ্রমিক এমাদুল হোসেন জানান, প্রচণ্ড গরম পড়েছে। বাচ্চা নিয়ে খুবই সমস্যায় আছি। ঘরের মধ্যে থাকা যায়না। আমার দুই সন্তান গত কয়েকদিন থেকে জ্বর-সর্দি ও কাশিতে ভুগছে। জানি না কবে বৃষ্টির দেখা মিলবে। খাবার পানির খুবই অভাব এখানে। গরমকালে পানির জন্য হাহাকার পড়ে যায়।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি