শ্রীবরদীতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা

সর্বমোট পঠিত : 24 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, নিহতের পরিবার বিনা ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেছিলেন। এটা যেহেতু আত্মহত্যা তাই লাশ ময়না তদন্তের জন্য নেওয়া হয়েছে।


শেরপুরের শ্রীবরদীতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শাকিল (১৯) নামের এক কলেজ ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন। নিহত শাকিল শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নের দহেরপাড় বাকসাবাইদ এলাকার কলিমউদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার (১৫ই এপ্রিল) রাতে বাড়ির সামনে আমগাছের ডালে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস নেন। অনেকদিন আগে থেকে ফেসবুকে নানান কথা লিখে আসছিলো শাকিল।

ফাঁস নেওয়ার আগে শাকিল তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন “আসসালামু আলাইকুম, প্রথমে সবার প্রতি আমি ক্ষমা চাই। আজকের পর হয়তো আমার পরিবার, বন্ধুবান্দব ও এলাকাবাসীর জন্য একটা অনেক বড় স্মৃতি হয়ে থাকবে। তারা হয়তো কখনো এই দিনটার কথা ভুলতে পারবে না। আজকের পর তারা আর আমাকে খুজে পাবেনা এই পৃথিবী নামক জেলখানায়। সবে মাত্র সফলতার মুখ দেখতে যাচ্ছিলাম আর জীবন এখানেই থেমে গেলো। যে পরিবার আমায় এতো বছর লালন-পালন করলো তাদের জন্য আমি কিছুই করে যেতে পারলাম না তার জন্য আমি লজ্জিত। আগে জানতাম না যে একটা মানুষ অন্য একটা মানুষ কে হারানোর ভয়ে এতোটা ছটফট করে। সবার উদ্দেশ্যে আমার একটায় কথা কারো মায়ায় পরো না কখনো, জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে। আমার আত্মীয়- সজন বন্ধ বান্ধব ও এলাকাবাসীর সাথে যদি কখনো খারাপ ব্যবহার করে থাকি তাহলে যদি পারেন ক্ষমা করে দিয়েন। আজকের পর দুনিয়ার বুক থেকে মুছে যাবে চিরতরে আমার নাম। ভালো থাকোক পৃথিবীর সকল মানুষ ভালো থাকোক না হওয়া প্রিয় মানুষ। দুনিয়ার মায়া ছেড়ে দিয়ে আমার একটু কষ্ট হচ্ছে না যতটুকু কষ্ট পাচ্ছি তাকে না পাওয়ার জন্য। সবার কাছে আমার একটাই শেষ ইচ্ছে পারলে আমার জন্য একটু দোয়া করবেন।

বিদায় পৃথিবী বিদায় সকলকে।”

এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, নিহতের পরিবার বিনা ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেছিলেন। এটা যেহেতু আত্মহত্যা তাই লাশ ময়না তদন্তের জন্য নেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি