মোংলায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

সর্বমোট পঠিত : 80 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

মোংলার সিঙ্গাপুর মার্কেটের ভ্যারাইটিস গার্মেন্টসের কর্ণধার মিলন হোসেন বলেন, রোজার শুরু থেকে কেনাবেচা খুব একটা ছিল না তবে ২৫ রমজানের পোষাক বিক্রি বেড়েছে।


পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বন্দর নগরী মোংলায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাচা। শহরের মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলোতে বাড়ছে ব্যবসায়ীসহ ক্রেতাদের ব্যস্ততা। সব বয়সী মানুষের মধ্যে এখন ঈদের কেনাকাটা নিয়েই যত ভাবনা। ঈদ উপলক্ষে মোংলার বিপণি বিতান, মার্কেটগুলো এখন নতুন নতুন দেশি-বিদেশি হরেক রকম জামা-কাপড়ে ঠাসা। দোকানগুলো ক্র‍েতার ভিড়ে জমজমাট। ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিসহ পরিবারের সবার জন্য জামা-কাপড়, জুতো, প্রসাধনীসামগ্রী কিনতে ব্যস্ত মানুষ। বিশেষ করে পরিবারের কর্তারা ব্যস্ত পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মেটাতে। মার্কেটে সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা। ঈদের কেনাকাটায় মেয়েদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে দেশি বিদেশি থ্রি পিস, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শাড়ি এবং প্রসাধনী। ছেলেরা পাঞ্জাবি, জিন্স, বিভিন্ন কালারের টি-শার্ট কিনতে ভিড় করছেন পোষাকের দোকানগুলোতে।

মোংলা পৌরশহরের সিঙ্গাপুর মার্কেট, কমিশনার শফিউল্লাহ সড়ক, শেখ আব্দুল হাই সড়ক, পৌর সুপার মার্কেট, সিদ্দিক সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপণী বিতানগুলোতে এখন উপচেপড়া ভিড়। পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে পছন্দমত পোষাক কিনছেন স্বল্প আয়ের মানুষ।

বৈদ্যমারী থেকে মোংলা শহরে ঈদের কেনাকাটা করতে এসে শেখ কাওসার আলী বলেন, প্রতিবছর ঈদে পোষাকের দাম বাড়ে পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। যা সামর্থ্যে কুলাচ্ছে তাই কেনার চেষ্টা করছি।

মোংলার সিঙ্গাপুর মার্কেটের ভ্যারাইটিস গার্মেন্টসের কর্ণধার মিলন হোসেন বলেন, রোজার শুরু থেকে কেনাবেচা খুব একটা ছিল না তবে ২৫ রমজানের পোষাক বিক্রি বেড়েছে।

এদিকে সড়কের দুইপাশে যে দোকানগুলো আছে সেখান থেকেও পছন্দের পোষাক, প্রসাধনী এবং জুতা কিনছেন অনেক ক্রেতা। শিশু, নারী ও পুরুষের জন্য বাহারী রঙের পোষাক দিয়ে সাজানো হয়েছে মোংলার বিভিন্ন মার্কেটের দোকানগুলো। চৈত্রের প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সবাই। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেশি থাকে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি