সরিষাবাড়ীতে গ্যাস সিলিন্ডার বোতল জালিয়াতী ধরা খেল ক্রেতার সচেতনতায়

সর্বমোট পঠিত : 40 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দোকানীর গ্যাস সিলিন্ডার বোতল জালিয়াতী ধরা খেল ক্রেতার সচেতনতায়। বেশী মুনাফার লোভে এলপিজি সিলিন্ডার বোতলে কম পরিমানে পাম্পের গ্যাস তুলে বিক্রির ঘটনায় ব্যবহারকারীদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আরামনগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থ্য ক্রেতাদের ভয়ে মালিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে গেছে।


জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দোকানীর গ্যাস সিলিন্ডার বোতল জালিয়াতী ধরা খেল ক্রেতার সচেতনতায়। বেশী মুনাফার লোভে এলপিজি সিলিন্ডার বোতলে কম পরিমানে পাম্পের গ্যাস তুলে বিক্রির ঘটনায় ব্যবহারকারীদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আরামনগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থ্য ক্রেতাদের ভয়ে মালিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার আরামনগর বাজারের মেসার্স আমিনুর ইলেকট্রনিকএর মালিক আমিনুর ইসলাম দীর্ঘ দিন যাবৎ গ্যাস সিলিন্ডার বোতল জালিয়াতী করে আসছিল। প্রতিষ্ঠানটি যমুনা, বসুন্ধরা, নাভানা, বিএম সহ দেশের বিভিন্ন এলপি গ্যাসের নাম ব্যবহার করে পাম্পের গ্যাস তুলে এনে সিলিন্ডার বোতলে বিক্রি করছিল। ক্রেতাদের নিকট থেকে প্রতি গ্যাসের বোতল ১৪০০ টাকার বিনিময়ে ১২ কেজির স্থলে ৮ কেজি গ্যাস দিয়ে প্রতারনা করে আসছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নীতিমালা লঙ্ঘন করে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডার। অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া পেট্রোল জাতীয় দাহ্য পদার্থ বিক্রির বিধান না থাকলেও নীতিমালা উপেক্ষা করেই লাইসেন্স তথা ছাড়পত্র না নিয়েই অনেকে ব্যবসা করছেন বলে জানাগেছে। স্থানীয় প্রশাসনের তদারকি না থাকার সুযোগ নিয়ে মেসার্স আমিনুর ইলেকট্রনিকএর সত অনেকেই অবাধে ও অরক্ষিত এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছে। যত্রতত্র মেয়াদ উত্তীর্ণ সিলিন্ডারে গ্যাস বিক্রির কারণে যে কোন মুহূর্তে বিস্ফোরণে ব্যপক প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনেকেই আশংকা করছেন।

এ বিষয়ে সিলিন্ডার গ্রাস ব্যবসায়ী আল আমিন, কামরুলসহ অনেকেই জানান, সিলিন্ডারে বসুন্ধরা লগো ও স্টিকার মারা থাকবে। কিন্তু আমিনুর বিভিন্ন গ্যাস পাম্প থেকে গ্যাস তুলে এনে সিলিন্ডার বোতলে বিক্রি করছে যে গুলার কোন লেভেল নাই। যদিও ৫ মাসের মধ্যে কারো দোকানে বসুন্ধরার কোন গ্যাস নাই। সঠিক কোম্পানির গ্যাসের বোতল যদি যায় ২ মাস তাহলে আমিনুর দোকান থেকে নেওয়া সিলিন্ডারে বোতলের গ্যাস ১৫ দিনেই শেষ হয়। সে জনগণের সাথে প্রতারণা করে আসছে। আমরা ওর দোকান সিল গালা ও আইনের আওতায় আনার দাবী জানাই।

দকে মেসার্স আমিনুর ইলেকট্রনিক এর মালিক আমিনুরকে একাধিকবার কল দেওয়া হলে নাম্বারটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান জানান, আমরা খোজ খবর নিচ্ছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি