এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার এসআই কুমোদ লাল দাস জানান, গ্রেফতারকৃত স্বপন মিয়াকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাকে রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পদক্ষেপ চলছে। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল খালেক মারা যাওয়ার পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ দিতে আদালতে ইতোমধ্যেই আবেদন করা হয়েছে।
শেরপুরে আ’লীগ নেতা খালেক হত্যা মামলায় র্যাব-১৪ হাতে গ্রেফতার-১





শেরপুরে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি মো. স্বপন মিয়া (৩২) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪। ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের র্যাব-১৪ অধিনায়কের কার্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটকৃত স্বপন মিয়া সদর উপজেলার রঘুনানাথপুর কোনাচিয়াপাড়া গ্রামের মো. মোফাজ্জল মিয়ার ছেলে।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, ১৯ জুলাই বুধবার বিকেলে জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামানের নেতৃত্বে র্যাবের একটি অভিযানিক দল ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল এলাকা হতে স্বপন মিয়াকে গ্রেফতার করে। স্বপনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ধৃত আসামিকে শেরপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার এসআই কুমোদ লাল দাস জানান, গ্রেফতারকৃত স্বপন মিয়াকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাকে রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পদক্ষেপ চলছে। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল খালেক মারা যাওয়ার পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ দিতে আদালতে ইতোমধ্যেই আবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২ জুলাই বিকেলে শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর চকপাড়া এলাকার মৃত ফরহাদ আলীর ছেলে আব্দুল খালেককে রাস্তায় একা পেয়ে ঘেরাও করে এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকীর (৪৫) নেতৃত্বে তার অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে কুপিয়ে, পিটিয়ে রক্তাক্তসহ হাত-পা ও মেরুদন্ড ভেঙ্গে ফেলে, ক্ষতি হয় কিডনির। পরে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে দুর্বৃত্তরা ২ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুড়ে সটকে পড়ে। পরে আব্দুল খালেককে তারা গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে সেদিন রাতেই তাকে মচিমহার আইসিইউতে রাখা হয়। তারপর থেকেই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন খালেক। এ ঘটনায় খালেকের স্ত্রী আসমাউল হোসনা বাদী হয়ে নূরে আলম সিদ্দিকীকে প্রধান আসামী করে তার সহযোগীসহ ২২ জনকে স্ব-নামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ ফারুক আহম্মেদ (২৬) ও সোহেল রানা (৩৭) নামে এজাহারনামীয় ২ আসামীকে গ্রেফতার করলেও কদিন পরই তারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর থেকেই প্রধান আসামীসহ অপরাপর আসামী পলাতক রয়েছে।
মন্তব্য