শেরপুরে মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই পলাতক আসামি গ্রেফতার

শেরপুরে মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই পলাতক আসামি গ্রেফতার
সর্বমোট পঠিত : 209 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

আশিক উজ্জামান বলেন, উভয় আসামিকে ২৪ জানুয়ারি রাতে দুই স্থান থেকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-১৪। আজ দুপুরে শেরপুর সদর ও ঝিনাইগাতী থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।

শেরপুর সদরে অটোরিক্সাচালক হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী সাগর ও ঝিনাইগাতীতে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আলিমকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪। পলাতক দুই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গতকাল রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর ও রাজেন্দ্রপুরে ২৪ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, অটোরিক্সাচালক হত্যা মামলার আসামী সাগর (২৬), ধর্ষনের পর হত্যা মামলার আসামী কালু মিয়া(৪০)।

আজ দুপুর ১টায় জামালপুর র‍্যাব-১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার আশিক উজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ২০১৬ সালের ৭মার্চ রাতে সাগর ও তার সহযোগীরা অটোরিকশাচালক আঃ রেজ্জাককে খুন করে শেরপুর শহরের মোবারকপুর এলাকায় একটি ইটের ভাটায় ইট দিয়ে চাপা দিয়ে রাখে। পরে ৮ মার্চ পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। ২০১৬ সালের ৮ মার্চ রাতে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ ০৬ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকেন সাগর। সাগর তার নাম বদলে মোঃ শাহীনুর নামে ইসলামী ব্যাংক, রাজেন্দ্রপুরে সিকিউরিটি গার্ড পরিচয়ে চাকরী এবং সিএনজি চালক ইত্যাদি পেশায় জীবনযাপন করে। পরে গত বছরের ৬ এপ্রিল শেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত সদর উপজেলার যোগিনীমুরা গ্রামের সাগর নামে খুনিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে। পরে গতকাল রাতে গাজীপুর সদরের রাজেন্দ্রপুর থেকে আসামী সাগরকে আটক করে।

অপরদিকে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রী গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে ঝিনাইগাতীর বাকাকুড়া গ্রামের তার নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষনের স্বীকার হয়। ঐ শিক্ষার্থীর বাড়ি থেকে বাকাকুড়ার কালু মিয়া ভিকটিমের সাথে কথা বলার উদ্দেশ্যে বাড়িতে থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই ভিকটিম নিখোঁজ হয় এবং ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার পর খুন করে। এরপর থেকেই আসামি কালু মিয়া পলাতক থাকে। পরে এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল খুনি কালুকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করে। খুনের পর থেকেই আসামী কালু মিয়া আত্মগোপনে চলে যায়। দীর্ঘ ০৭ বছর আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় কালু মিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে সামিউল ইসলাম নাম ধারণ করে শ্রমিক এবং রাজমিস্ত্রি পেশায় নিয়োজিত ছিল। গতকাল রাতে গাজীপুরের শ্রীপুরের তাকুয়া গার্মেন্টস এর সামনে থেকে আসামি কালুকে আটক করা হয়।

আশিক উজ্জামান বলেন, উভয় আসামিকে ২৪ জানুয়ারি রাতে দুই স্থান থেকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-১৪। আজ দুপুরে শেরপুর সদর ও ঝিনাইগাতী থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি