কথাশিল্পী শওকত ওসমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সর্বমোট পঠিত : 331 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার (১৪ মে)। শওকত ওসমান একাধারে নাটক, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, রাজনৈতিক লেখা ও শিশু-কিশোর সাহিত্য রচনা করেছেন। ১৯৯৮ সালের এ দিনে তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবী হিসাবে সমধিক পরিচিত শওকত ওসমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকেল পাঁচটায় বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রের ইস্পেন্দিয়া জাহেদ হাসান মিলনায়তন এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার (১৪ মে)। শওকত ওসমান একাধারে নাটক, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, রাজনৈতিক লেখা ও শিশু-কিশোর সাহিত্য রচনা করেছেন। ১৯৯৮ সালের এ দিনে তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবী হিসাবে সমধিক পরিচিত  শওকত ওসমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকেল পাঁচটায় বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রের ইস্পেন্দিয়া জাহেদ হাসান মিলনায়তন এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শওকত ওসমানের ছেলে এবং বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায় জন্ম নেন শওকত ওসমান। তাঁর আসল নাম শেখ আজিজুর রহমান। কলকাতার আলিয়া মাদ্রাসায় লেখাপড়া শুরুর পর তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হন। পরে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ ডিগ্রিও অর্জন করেন তিনি।  

আইএ (বর্তমানে এইচএসসি) পাস করার পর শওকত ওসমান কিছুদিন কলকাতা করপোরেশন এবং বঙ্গীয় সরকারের তথ্য বিভাগেও চাকরি করেন। স্নাতকোত্তর পাসের পর ১৯৪১ সালে তিনি কলকাতার গভর্নমেন্ট কমার্শিয়াল কলেজে প্রভাষক পদে যোগ দেন। ১৯৪৭ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজ অব কমার্সে যোগ দেন। পরে ১৯৫৮ সাল থেকে ঢাকা কলেজে অধ্যাপনা করে ১৯৭২ সালে স্বেচ্ছায় অবসরে যান। চাকরি জীবনের প্রথম দিকে কিছুকাল তিনি ‘কৃষক’ পত্রিকায় সাংবাদিকতাও করেন।  

বাংলা সাহিত্যের বলিষ্ঠ কথাশিল্পী শওকত ওসমান তাঁর লেখনীর মাধ্যমে শোষক শ্রেণির বিরুদ্ধে ও শোষিতের পক্ষে কথা বলেছেন সারা জীবন। তাঁর রচিত ‘ক্রীতদাসের হাসি’ স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সব সময় প্রেরণা জুগিয়ে আসছে। মুক্তিযুদ্ধ ও ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে তিনি ছিলেন সরব। নাটক, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রস-রচনা, রাজনৈতিক লেখা, শিশু-কিশোর সাহিত্যসহ সর্বত্র তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।

শওকত ওসমানের ‘জননী’ উপন্যাস ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হয়ে বিশ্বসাহিত্যে স্থান করে নিয়েছে। সাহিত্যকর্মে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, প্রেসিডেন্ট প্রাইড অব পারফরম্যান্স পদক, একুশে পদক, নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, মুক্তধারা পুরস্কার, মাহবুবউল্লাহ ফাউন্ডেশন পদক, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, টেনাসিস পুরস্কার ও স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার পেয়েছেন।

শওকত ওসমানের লেখা অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে- রাজা উপাখ্যান, জাহান্নম হইতে বিদায়, দুই সৈনিক নেকড়ে অরণ্য, পতঙ্গ পিঞ্জর, আর্তনাদ, রাজপুরুষ, জলাঙ্গী, বনী আদম ও রাজসাক্ষী।  শওকত ওসমানের লেখায় যেমন উঠে এসেছে তৎকালীন সমাজ বাস্তবতা, অনাচার অবিচার, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার, প্রতিবাদের ভাষ্য, ঠিক তেমনি এসেছে জীবনবোধ, সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার অনন্ত অনুপ্রেরণা।  

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি