গারো পাহাড় সৌন্দর্যে নতুন রুপে সেজেছে

মায়াবী লেক
সর্বমোট পঠিত : 442 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

শেরপুরের মহসিনা খাতুন জানান, আমি মায়াবি লেকে এসেছি। এতো সুন্দর একটা জায়গা তা কখনো দেখিনাই। তবে এখানে আসা রাস্তা নাই। তাই হেটে হেটে অনেক পথ আসতে হলো। তবে কিভাবে অনেকদুর হেটে আসলাম পাহাড়ের সৌন্দর্যের কারণে বুঝতেই পারি নাই।

দেশের উত্তর সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার নয়নাভিরাম গারো পাহাড়। এ গারো পাহাড়ের নৈসার্গিক দৃশ্য অবলোকন করার জন্য সারা দেশের মানুষ এখানে প্রায় সারা বছরই বেড়াতে আসেন। তাই এখানে শেরপুর জেলা প্রশাসন গড়ে তুলেছে গজনী অবকাশ ও বনবিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছে মধুটিলা ইকোপার্ক নামে দুটি পর্যটন কেন্দ্র। করোনার অতিমারির কারণে এ পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় এখানে মানুষের আনাগোনা বন্ধ ছিলো। এরই মধ্যে গারো পাহাড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়ে নতুনরুপে আবির্ভূত হয়েছে এ পাহাড়।
সবুজে সবুজে ছেয়ে গেছে গোটা গারো পাহাড়, নানা গাছে ফুটেছে বিভিন্ন ধরনের ফুল। পাহাড়ি ঝর্ণাগুলোতে ছুটে চলেছে পানি। এতে আলাদা রুপে ফিরেছে গারো পাহাড়।

চারদিকে পাহাড়ী উচু টিলা, মাঝখানে পানির লেক। দেখতে চমৎকার দৃশ্য। আর একাধিক এমন লেকে দেখতে এসে দর্শনার্থীরা আলাদা আনন্দ পাচ্ছেন। এমনই একটি লেকের নাম দেয়া হয়েছে মায়াবী লেক। তবে বনের ক্ষতি হবে এ জন্য মানুষকে এ লেকে প্রবেশ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে প্রশাসন। কিন্তু এর সৌদর্য মানুষকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে সেখানে।

শেরপুরের মহসিনা খাতুন জানান, আমি মায়াবি লেকে এসেছি। এতো সুন্দর একটা জায়গা তা কখনো দেখিনাই। তবে এখানে আসা রাস্তা নাই। তাই হেটে হেটে অনেক পথ আসতে হলো। তবে কিভাবে অনেকদুর হেটে আসলাম পাহাড়ের সৌন্দর্যের কারণে বুঝতেই পারি নাই।

গারো পাহাড়ের সৌন্দর্যের বিষয়ে জানতে চাইলে, ঝিনাইগাতীর মো: ফারুক জানান, অনেকদিন পর এবার গারো পাহাড় সবুজে সবুজে, ফুলে ফুলে নতুন রুপে সেজেছে। এখন দেখতে অনেক ভালো লাগছে।

শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো: মোমিনুর রশিদ জানান, গারো পাহাড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে দর্শনার্থীদের আনাগোনা এবার আরো বাড়বে। পর্যটকরা উপভোগ করতে পারবেন আলাদা আনন্দ। গারো পাহাড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার অনেক দর্শনার্থীর সমাগম হবে গারো পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। এতে এখানকার করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস। 

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি