চিরচেনা রূপে ফিরেছে পাথুরে বিচ ইনানী

পাথুরে বিচ ইনানী
সর্বমোট পঠিত : 367 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

প্রবাল পাথরের সমারোহে ইনানী সমুদ্র সৈকত এখন আগের চেয়ে অনেকটা সাজানো-গোছানো। যে কারণে কক্সবাজার থেকে ইনানী যেতে সময় লাগে ৩০-৪০ মিনিট। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর কর্তৃক ১৯৯২ সালে নির্মিত কলাতলী থেকে টেকনাফ ৮৪ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে যাওয়া যায় ইনানী সমুদ্র সৈকতে।

করোনার কারণে দীর্ঘ পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ থাকার পর গত ১৯ আগস্ট থেকে আবারও খুলে দেয়ায় চিরচেনা রূপ ফিরে পায় পাথুরে বিচ ইনানী। হাজারও পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলা নিকেতন ইনানী পাথুরে সি-বিচ। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ীরাও চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন।

পর্যটকদের হৃদয়গ্রাহী এ স্পটটি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার দূরে। যা ইমাজিং টাইগার হিসেবেও পরিচিত। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত দীর্ঘ ১২০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর, আকর্ষণীয় ও নয়নাভিরাম হচ্ছে ইনানী বিচ। এক কথায় ইনানীকে প্রকৃতির ভূস্বর্গ বলা চলে।

ইনানী সৈকত থেকে শুরু করে টেকনাফ পর্যন্ত এর প্রাকৃতিক প্রবাল এবং পাথর সমুদ্রের ভাঙন থেকে সৈকতকে রক্ষা করছে। আবার এসব পাথর ইনানী সৈকতকে দিয়েছে বাড়তি সৌন্দর্য।

প্রবাল পাথরের সমারোহে ইনানী সমুদ্র সৈকত এখন আগের চেয়ে অনেকটা সাজানো-গোছানো। যে কারণে কক্সবাজার থেকে ইনানী যেতে সময় লাগে ৩০-৪০ মিনিট। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর কর্তৃক ১৯৯২ সালে নির্মিত কলাতলী থেকে টেকনাফ ৮৪ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে যাওয়া যায় ইনানী সমুদ্র সৈকতে।

এখানে হাজারও পর্যটকের আনাগোনা থাকায় গড়ে ওঠে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসা। কিন্তু করোনার কারণে পর্যটন খ্যাত দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় ব্যাপক লোকসানে পড়তে হয় তাদের। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা তাদের। পর্যটন স্পট খুলে দেয়া বিচে বেড়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। যার কারণে পর্যটন ব্যবসায়ীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

পর্যটকদের কেনাকাটার ওপর নির্ভর করে শত শত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর পরিবার। তাই তো কিটকট ব্যবসায়ী, ছাতা ব্যবসায়ী, শামুক-ঝিনুক ব্যবসায়ী, আচার ব্যবসায়ীসহ ক্যামেরা পারসনরা আবারও নেমে পড়েছেন সি-বিচে।

 কিটকট ব্যবসায়ী টিটু সিটি নিউজকে বলেন, ‘গেল কয় দিনে ভালো বিক্রি হয়েছে। আবার লকডাউন না দিলে গত ৫ মাসের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব।’

ক্যামেরা পারসন আলা উদ্দীন বলেন, ‘ক্যামেরা নিয়ে ইনানী বিচে নেমেছি। আজ ৭০০ টাকা আয়ও হয়েছে। মোটামুটি ভালোই লাগছে।’

পাটোয়ার টেকের কলা বিক্রেতা নুরুল আবছার বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন পর পর্যটকদের দেখা মিলেছে তাই বেচা-বিক্রিও ভালোই হচ্ছে। আমরা আর লকডাউন চাই না। লকডাউন হলে ব্যবসা করতে না পারলে পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। কোথাও ভিক্ষাও পাওয়া যাবে না।

রাজধানী ঢাকা থেকে আসা তরুণ পর্যটক হালিম মিয়ার সঙ্গে কথা হয় সিটি নিউজ ঢাকার। তিনি জানান, দুই মাস আগে ছোট পরিসরে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছেন তিনি। কিন্তু লকডাউনের কারণে স্ত্রীকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেননি। ১৯ আগস্ট পর্যটন স্পট খোলার পর স্ত্রীকে নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে এসেছেন তিনি। বেশ ভালো লাগছে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি