শেরপুরে পাগলা শিয়ালের কামড়ে ২২ জন আহত

সর্বমোট পঠিত : 99 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

এ বিষয়ে ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক উম্মে সালমা আখি জানান, কিছুদিন যাবত হাসপাতালে কুকুর ও শিয়ালের কামড়ের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১৪ জন শেয়ালে কামড়ানোর রোগী পেয়েছি। আমরা সাধ্যমত চিকিৎসা দিয়েছি এছাড়া হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন রয়েছে।

শেরপুর জেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের চারটি গ্রামে এক পাগলা শিয়ালের তাণ্ডবে সর্বত্র চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শিয়ালের আকস্মিক আক্রমণে মোট ২২ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে শিয়ালটি প্রথমে দিকপাড়া গ্রামে ৪ জনকে, এরপর গির্দ্দাপাড়া গ্রামে ১০ জনকে, তারপর নাকশি গ্রামে ৪ জনকে এবং সর্বশেষ পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামে ৪ জনকে কামড়ে আহত করে।

আহতদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা একত্র হয়ে শিয়ালটিকে তাড়া করে ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলে।

পরে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আহত সবাইকে অ্যান্টি-র‍্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঘটনার পর থেকে চারটি গ্রামজুড়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। অভিভাবকেরা শিশুদের বাইরে যেতে নিষেধ করছেন, এবং স্থানীয় প্রশাসন থেকে মসজিদে মাইকিং করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

গাজীরখামার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, “শিয়ালটি পুরো গ্রামজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। বনবিভাগ ও প্রাণিসম্পদ অফিসে খবর দেওয়া হয়েছে যাতে আশপাশে আরও এমন প্রাণী থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, শিয়ালটি জলাতঙ্ক (র‍্যাবিস) রোগে আক্রান্ত ছিল। স্থানীয় জনগণকে কামড়প্রাপ্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক উম্মে সালমা আখি জানান, কিছুদিন যাবত হাসপাতালে কুকুর ও শিয়ালের কামড়ের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১৪ জন শেয়ালে কামড়ানোর রোগী পেয়েছি। আমরা সাধ্যমত চিকিৎসা দিয়েছি এছাড়া হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন রয়েছে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি