জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান বলেন, ‘অলরেডি আমাদের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ বিআইডব্লিউটি-এর মাধ্যমে খনন চলমান রয়েছে। পাশাপামি ঝিনাইটা বিআইডব্লিউটি-এর খননের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এর পাশাপাশি অন্যান্য কিছু জলাশয়-খাল, ছোট নদী খননের জন্য আমাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এটার ফাস্ট ফেজ আমাদের ইতোমধ্যে হয়ে গেছে।’
জামালপুরে নদ-নদীর নাব্যতা সংকটে জাগছে দীর্ঘস্থায়ী চর, অসময়েও নদী ভাঙন
জামালপুরে নদ-নদীর নাব্যতা সংকটে জেগে উঠছে দীর্ঘস্থায়ী চর। অসময়েও দেখা দিচ্ছে নদী ভাঙন। এ সংকট থেকে রক্ষায় নদী খননসহ স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি তীরবর্তী এলাকার মানুষের। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে- ব্রহ্মপুত্র নদ খননের কাজ চলছে। সংকট কাটাতে খনন করা হবে ছোটো নদী-খাল-জলাশয়ও।
জামালপুরের ইসলামপুরে যমুনার চরে দুই বছর ধরে আটকে আছে সার্ভিস বোটসহ একটি ড্রেজার। পানির গভীরতা কমে যাওয়ায় সরানো যাচ্ছে না যান দুটি।
নাব্যতা সংকটে যমুনার শাখা নদীতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বিভিন্ন নৌযান চলাচল, জেগে উঠছে দীর্ঘস্থায়ী চর। আবার অন্যদিকে নদীর গতিপথ বদলে যাওয়ায় যমুনা, ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে নিঃস্ব বহু মানুষ।
নদী পাড়ের এক বাসিন্দা বলেন, নদীতে বাড়িঘর ভাঙার পর রাস্তার পাশে বাড়ি করেছি। এরপর সেখানেও ভাঙার পর আবার নতুন করে বাড়ি করতে হয়েছে।
এক কৃষক জানান, নদী ভাঙনের ফলে তাদের আখ, ধান চাষের জমি নদীতে চলে গেছে। এখন মরিচের চাষ করছেন, সেখানেও নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
আরেকজন ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে কোনো অনুদান চাই না। আমরা শুধু চাই এই নদী শাসন হোক।’
নদী খনন এবং দুই তীরে বনায়নের উদ্যোগের তাগিদ নদী রক্ষা কমিশনের সদস্যদের। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্র খননের কাজ চলছে। এছাড়াও খনন হবে অন্যান্য শাখা নদী ও খাল-জলাশয়।
জামালপুর জেলা নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলের আগ থেকে আজ পর্যন্ত নদী খনন হয়নি। নিয়ম হলো ৪০ বছর পর পর নদী খনন করার কথা। বিগত সরকারের আমলে ব্রহ্মপুত্র নদে তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল নদী খননের নামে। কিন্তু নদী খনন হয় নাই। নদী খনন করে যদি দুই পাড়ে বনায়ন করা যায়। তাহলে আমাদের অভয়ারণ্য তৈরি হবে এবং এখানে পাখ-পাখালি থেকে জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষিত হবে।’
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান বলেন, ‘অলরেডি আমাদের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ বিআইডব্লিউটি-এর মাধ্যমে খনন চলমান রয়েছে। পাশাপামি ঝিনাইটা বিআইডব্লিউটি-এর খননের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এর পাশাপাশি অন্যান্য কিছু জলাশয়-খাল, ছোট নদী খননের জন্য আমাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এটার ফাস্ট ফেজ আমাদের ইতোমধ্যে হয়ে গেছে।’
৬৪ জেলায় বেশ কিছু ছোট নদী-খাল ও জলাশয়ের খনন কাজের জন্য নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে নাব্যতা ফিরবে, জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
মন্তব্য