মানববন্ধনে সকলের পক্ষ থেকে ইউসুফ আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের প্রাণের দাবি নরুন্দি রেলওয়ে স্টেশনে সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি দেওয়া হোক। এই দাবি শুধু কয়েকজনের নয়, পুরো ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষের। রেলপথই আমাদের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম। অথচ অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত।’
জামালপুরে যাত্রাবিরতির দাবিতে আন্তনগর ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ
জামালপুরের নরুন্দি রেলওয়ে স্টেশনে আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্ম নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেন নরুন্দি স্টেশনে পৌঁছালে এলাকাবাসী ট্রেনটি থামিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে তাঁরা ট্রেনটি ছেড়ে দেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- নরুন্দি ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি ইউসুফ আলী, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক সুফিয়ান কবির শিপন, সহসভাপতি আব্দুল মজিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান মাসুম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সামনুরী ইমামসহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, জামালপুর সদর উপজেলার নরুন্দি, বাশচড়া, ঘোড়াধাপ, ইটাইল ও তুলশীরচর এই পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ নরুন্দি রেলস্টেশনের ওপর নির্ভরশীল। সড়কপথে চলাচলে নানামুখী দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই এই স্টেশনে সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি চালু করা ও দ্রুত দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ করা এখন সময়ের দাবি।
মানববন্ধনে সকলের পক্ষ থেকে ইউসুফ আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের প্রাণের দাবি নরুন্দি রেলওয়ে স্টেশনে সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি দেওয়া হোক। এই দাবি শুধু কয়েকজনের নয়, পুরো ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষের। রেলপথই আমাদের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম। অথচ অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত।’
নরুন্দি রেলওয়ে স্টেশন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হক বলেন, ‘যাত্রাবিরতির দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে। এ সময় তিস্তা এক্সপ্রেস প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। পরে আন্দোলনকারীরা ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে দেন। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে।’
মন্তব্য