মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান বলেন, বন্দর ব্যবহারকারী ও সংশ্লিষ্ট আমদানি রপ্তানিকারকদের সব ধরনের সুযোগ সু্বিধা দিতে আমরা সবসময় প্রস্তুত আছি। এবছর চট্রগ্রাম বন্দরে যেখানে ৪১ শতাংশ কর বাড়ানো হয়েছে সেখানে মোংলা বন্দর কোনো কর বাড়ায় নি। আশা করি মোংলা বন্দর ব্যবহারে আমদানি রপ্তানিকারকরা আরো আগ্রহী হবেন। তিনি আরো বলেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বন্দরে মোট ২৫৫ টি বিদেশি জাহাজ নোঙর করেছে। রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি করা হয়েছে ৩২৫৩টি, ১০ হাজার ৮ টিইউজ কন্টেইনার এবং ৪৭ লক্ষ মেট্রিকটন পণ্য মোংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানি রপ্তানি করা হয়েছে।
মোংলা বন্দরে পণ্য আমদানি রপ্তানিতে কর বাড়ানো হয়নি
 
                                        
                                        
                                
                             
                                    
                                    
                                         
                                    
                                    
                                         
                                    
                                    
                                         
                                    
                                
চট্রগ্রাম বন্দরে পণ্য আমদানি রপ্তানিতে ৪১ শতাংশ ট্যারিফ চার্জ বাড়ানো হলেও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কোন চার্জ বাড়ায় নি। ট্যারিফ চার্জ হলো একটি নির্দিষ্ট কর যা সরকার অন্য দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর আরোপ করে। এটি সাধারণত পণ্যের মূল্যের একটি শতাংশ হিসেবে ধরা হয়, যা রাজস্ব আয়ের একটি উৎস এবং স্থানীয় শিল্পকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাই আমদানি রপ্তানিকারক এবং বন্দর ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে আপাতত কোন কর বৃদ্ধি করতে চাচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এদিকে মোংলা বন্দরে কর না বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের বৃহত্তম শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। এমন উদ্যোগ গ্রহণের ফলে বন্দরের ব্যবহার আরো বহুগুনে বেড়ে যাবে বলে মনে করেন তারা।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানে বিদেশি জাহাজের আগমন
বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি রপ্তানি বেড়েছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বন্দর ব্যবহারকারীদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্রগ্রাম বন্দরের তুলনায় ট্যারিফ চার্জ কম হওয়ায় মোংলা বন্দর ব্যবহার করে আমদানি রপ্তানি করলে অধিক লাভবান হতে পারবে ব্যবসায়ীরা। মোংলা রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে কাছের সমুদ্র বন্দর হওয়ায় পণ্য পরিবহন খরচ অনেক কম হবে পাশাপাশি সময় সাশ্রয় হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান বলেন, বন্দর ব্যবহারকারী ও সংশ্লিষ্ট আমদানি রপ্তানিকারকদের সব ধরনের সুযোগ সু্বিধা দিতে আমরা সবসময় প্রস্তুত আছি। এবছর চট্রগ্রাম বন্দরে যেখানে ৪১ শতাংশ কর বাড়ানো হয়েছে সেখানে মোংলা বন্দর কোনো কর বাড়ায় নি। আশা করি মোংলা বন্দর ব্যবহারে আমদানি রপ্তানিকারকরা আরো আগ্রহী হবেন। তিনি আরো বলেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বন্দরে মোট ২৫৫ টি বিদেশি জাহাজ নোঙর করেছে। রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি করা হয়েছে ৩২৫৩টি, ১০ হাজার ৮ টিইউজ কন্টেইনার এবং ৪৭ লক্ষ মেট্রিকটন পণ্য মোংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানি রপ্তানি করা হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, ব্যবসায়ীদের সুবিধার বিষয়টি বিবেচনা রেখে আমরা কোন শুল্ক বা কর বাড়াই নি কারন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা মোংলা বন্দরকে এগিয়ে নিতে চাই। আমাদের বন্দরটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এ অঞ্চলের ব্যবসায়ী, বন্দর ব্যবহারকারী এবং আমদানি রপ্তানিকারকরা মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে এগিয়ে আসলে এখানে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হবে পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এ বন্দর।
 
                         
                     
                                                                                         
                     
                     
                    
মন্তব্য