মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইম হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালের ১৪ জুন রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর হামলা চালায় মাহমুদুল আলম বাবু ও তার কর্মী–সমর্থকরা। ১৫ জুন সাংবাদিক নাদিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে ১৭ জুন বকশিগঞ্জ থানায় চেয়ারম্যান বাবু ও তার ছেলে রিফাতসহ ২২ জন এবং অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম। সেই হত্যা মামলা বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখার পর তদন্ত করে সিআইডি।’
সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা তদন্তের দায়িত্বে পিবিআই
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলায় বাদী পক্ষের নারাজি মঞ্জুর করে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বকশীগঞ্জ আমলী আদালতের বিচারক রোজিনা আহাম্মেদ এই আদেশ দেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইম হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালের ১৪ জুন রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর হামলা চালায় মাহমুদুল আলম বাবু ও তার কর্মী–সমর্থকরা। ১৫ জুন সাংবাদিক নাদিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে ১৭ জুন বকশিগঞ্জ থানায় চেয়ারম্যান বাবু ও তার ছেলে রিফাতসহ ২২ জন এবং অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম। সেই হত্যা মামলা বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখার পর তদন্ত করে সিআইডি।’
অ্যাডভোকেট সাইম হোসেন আরও বলেন, ‘২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় সিআইডি। সেখানে প্রধান আসামি বাবুসহ ৯জনকে রাখা হয় এবং বাবুর ছেলে রিফাতসহ মোট ২৭ জনকে বাদ দেওয়া হয়। পরে সেই প্রতিবেদনে নারাজি দিলে তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব-১৪।’
বাদী পক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘চলতি বছরের ৩১ আগস্ট একই ধরনের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় র্যাব। এরপর ২১ সেপ্টেম্বর বাদী পক্ষ নারাজি দিলে আজ আদালত এই আদেশ দেন।’
সঠিকভাবে তদন্ত করে খুব কম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে পিবিআই– এমনটাই আশা প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ও নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম।
মন্তব্য