জাতীয় মাছ ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্টগার্ডের জনসচেতনতামূলক টহল 

সর্বমোট পঠিত : 76 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দেশের সুবিশাল সমুদ্র, উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় জাটকা নিধন প্রতিরোধ, মা ইলিশ সংরক্ষণ এবং সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা কালীন কঠোর নজরদারী এবং প্রতিনিয়ত কোস্ট গার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি আর্টিসানাল ট্রলিং বোটের মাধ্যমে মাছ শিকার করার কারণে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র ধ্বংস, মাছের প্রজনন ব্যাহত, সামুদ্রিক গাছপালা ও পোনামাছ ধ্বংস হয়ে ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে বঙ্গোপসাগরে মৎস্য শূন্যতার আশঙ্কা তৈরি করছে। অবৈধ আর্টিসানাল ট্রলিং বোটের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চলমান থাকায় এর ব্যবহার অধিকাংশে কমেছে, যার ফলে সমুদ্র ও নদীতে মাছের প্রাচুর্যতা বৃদ্ধি পাবে।

জাতীয় মাছ ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে কোস্ট গার্ড। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর)  দুপুরে কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দেশের সুবিশাল সমুদ্র, উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় জাটকা নিধন প্রতিরোধ, মা ইলিশ সংরক্ষণ এবং সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা কালীন কঠোর নজরদারী এবং প্রতিনিয়ত কোস্ট গার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি আর্টিসানাল ট্রলিং বোটের মাধ্যমে মাছ শিকার করার কারণে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র ধ্বংস, মাছের প্রজনন ব্যাহত, সামুদ্রিক গাছপালা ও পোনামাছ ধ্বংস হয়ে ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে বঙ্গোপসাগরে মৎস্য শূন্যতার আশঙ্কা তৈরি করছে। অবৈধ আর্টিসানাল ট্রলিং বোটের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চলমান থাকায় এর ব্যবহার অধিকাংশে কমেছে, যার ফলে সমুদ্র ও নদীতে মাছের প্রাচুর্যতা বৃদ্ধি পাবে।

ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষ্যে ‘‘মা ইলিশ’’ রক্ষার্থে ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ‘মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন-১৯৫০’ মোতাবেক ০৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে সারাদেশে ইলিশের আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকবে। 

এ উপলক্ষ্যে মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোস্টগার্ড সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিধিনিষেধ কার্যকর করতে নদী ও সমুদ্র উপকূলে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি এবং দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা টহল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি জেলেদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা সভার আয়োজন এবং সকলকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে। একই সাথে জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌবাহিনী, পুলিশ ও মা ইলিশ সংরক্ষণে সক্রিয় অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে অভিযান পরিচালনা করা করে আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি “আজকের সংরক্ষণই আগামী দিনের প্রাচুর্য”। মৎস্যজীবী ভাইদের নিকট আমার অনুরোধ আসুন, সবাই মিলে কোস্ট গার্ডকে মা ইলিশ রক্ষায় সহায়তা করার মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে সহায়তা করি। এছাড়াও উপকূল ও সমুদ্রে যেকোনো প্রয়োজনে জরুরি সেবা নম্বর ১৬১১১-এ কল করলে অতিদ্রুত সহায়তা প্রদানের জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে কোস্ট গার্ড।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দ্বায়িত্বাধীন উপকূলীয় ও নদী এলাকার মৎস্য অভায়শ্রমগুলোতে মা ইলিশ রক্ষায় সার্বক্ষণিক টহল কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি