ভূক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার দিগপাইত-সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি ‘মহাসড়ক যথাযথ মান প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ নির্মাণ’ প্রকল্পে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টাকা না দিলে হয়রানি করে। সাধারণ মানুষ নিজেদের ক্ষতিপূরণের আবেদন জমা দিলেও কাগজপত্র ঘাটতির কথা বলে বছরের পর ঘুরানো হয়। আর কমিশন প্রাপ্ত দালালদের শতকরা হিসেবে নগদ ৫-৭ টাকা হারে টাকা দিলে এক-দুই সপ্তাহ বা সর্বোচ্চ একমাসেই ফাইল পাস হয়।
দিগপাইত-সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি মহাসড়ক প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ





জামালপুরের দিগপাইত-সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি ‘মহাসড়ক যথাযথ মান প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ নির্মাণ’ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে নানা অনিয়ম, দালালদের দৌরাত্ম্য ও অফিসের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সংশ্লিষ্ট সার্ভেয়ারদের নিয়োগকৃত দালালদের বেপরোয়া আচরনে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা। আগাম উৎকোচ না দিলে মিলে না ক্ষতিপূরণের চেক। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ক্ষতিপূরণের লাখ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা নেয়ার দাবীতে আবেদন করেছে এলাকাবাসী।
ভূক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার দিগপাইত-সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি ‘মহাসড়ক যথাযথ মান প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ নির্মাণ’ প্রকল্পে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টাকা না দিলে হয়রানি করে। সাধারণ মানুষ নিজেদের ক্ষতিপূরণের আবেদন জমা দিলেও কাগজপত্র ঘাটতির কথা বলে বছরের পর ঘুরানো হয়। আর কমিশন প্রাপ্ত দালালদের শতকরা হিসেবে নগদ ৫-৭ টাকা হারে টাকা দিলে এক-দুই সপ্তাহ বা সর্বোচ্চ একমাসেই ফাইল পাস হয়।
পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি এলাকার মৃত ছবের ম-লের পুত্র মোঃ হোসেন আলীর (পোগলদিঘা মৌজার খতিয়ান নম্বর ২৩৭৯, দাগ নম্বর ৮৩৪৯) নিজ বসতবাড়ির ০.০৬ শতাংশ জমির মধ্যে ০.০২৩২ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের (এলএ কেস নম্বর ০৫/২০২২-২০২৩) আওতায় পড়ে। ওই জমিতে শুধুমাত্র বাড়ীর দেয়াল থাকলেও তার পাকা ভবন (অধিগ্রহণের বাইরে) কাগজে-কলমে অধিগ্রহণ দেখানো হয়েছে। ভবনকে অধিগ্রহণের আওতায় দেখানোর জন্য বারান্দার একাংশ নিজেরাই ভেঙে ফেলে। জেলা ভূমি অধিগ্রহণ শাখার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট সার্ভেয়ারকে ম্যানেজ করে ভুয়া জরিপের মাধ্যমে ওই ভবনকে অধিগ্রহণ দেখানোর পর ভবন মালিক হোসেন আলী ক্ষতিপূরণের ৩১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৭৬ টাকার চেক উত্তোলন করেন।
এলাকার সোজাত আলী ও মোঃ সোলায়মানসহ কয়েকজন জানান, প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। চলতি বছরের ২৮ ও ২৯ জুলাই অধিগ্রহণ শাখার লোকজন ওই ভূমি পুনরায় পরিমাপ করে দেখতে পান, হোসেন আলীর ভবন অবকাঠামো অধিগ্রহণের আওতাধীন নয়। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায়, তিনি ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন। আমরা সেই টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরৎ নেয়ার দাবী জানিয়েছি।
সম্প্রতি বদলি হওয়া জেলা অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব হাসান বলেন, “হোসেন আলীর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে তিনি উপযুক্ত বিবেচনায় ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া হয়েছে।” এছাড়া নানা অনিয়ম ও দালালদের দৌরাত্ম্য সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা চেষ্টা করি সর্বোচ্চ সেবা দিতে দিতে। এরপরও সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ সহকারে দেখা হয়।”
মন্তব্য