তাপস কর্মকার বলেন, ‘দুর্ঘটনার সময় বাসটিকে অনেকবার ব্রেক কষেও থামানো যায়নি বলে আমাদের কাছে চালক দাবি করেছে। বাসচালক স্বীকার করেছে যে সে গাঁজা সেবন করত। তবে গতকাল বাস চালানোর সময় গাঁজা সেবন করেনি বলে দাবি করেছে। চালকের লাইসেন্সও নবায়ন করা ছিল না।’
পড়ে থাকা নষ্ট বাস মেরামতের পর ওইদিনই নামানো হয় সড়কে





ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় বাসচালক মোহাম্মদ নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চালক জানিয়েছে, বাসটি দীর্ঘদিন নষ্ট অবস্থায় পড়ে ছিল। মেরামতের পর ঘটনার দিনই সড়কে নামানো হয় বাসটি। চালক প্রথম থেকেই বুঝতে পারে ব্রেকে সমস্যা ছিল। কিন্তু বাসমালিককে সেটা জানালে মালিক তাকে আস্তে আস্তে চালিয়ে যেতে বলে।
আজ শনিবার র্যাব-১০ মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বাসচালকের বরাতে জানান এসব তথ্য জানান।
তাপস কর্মকার বলেন, ‘দুর্ঘটনার সময় বাসটিকে অনেকবার ব্রেক কষেও থামানো যায়নি বলে আমাদের কাছে চালক দাবি করেছে। বাসচালক স্বীকার করেছে যে সে গাঁজা সেবন করত। তবে গতকাল বাস চালানোর সময় গাঁজা সেবন করেনি বলে দাবি করেছে। চালকের লাইসেন্সও নবায়ন করা ছিল না।’
তাপস কর্মকার আরও বলেন, ‘আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাকে হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পরিচয় নিশ্চিতের পর বাসচালককে গ্রেপ্তার করে তার আত্মীয়কে (ভায়রা ভাই) ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বাসের চালকের সহকারী নাহিদ এখনও পলাতক রয়েছে।’
দুর্ঘটনার বিষয়ে আজই মামলা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এবার শুধু বাসচালকের বিরুদ্ধে নয়, দুর্ঘটনায় অন্য যারা সংশ্লিষ্ট তাদের সকলের বিরুদ্ধে মামলা হবে।’
এর আগে, গাজীপুর অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার ড. আ ক ম আকতারুজ্জামান বসুনিয়া জানিয়েছিলেন, দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের এখন পরিচয় ভেরিকেশন করা হচ্ছে। ভেরিফাই করার পর বিস্তারিত জানানো হবে।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজায় যাত্রীবাহী কুয়াকাটাগামী বাস থেমে থাকা প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে ৬ জন নিহত হন। দুর্ঘটনার পর বাস আটক হলেও স্টাফরা পালিয়ে যায়।
মন্তব্য