ভ্যানচালক বাবুল মিয়া বলেন, আমি সাইফুলকে সাথে নিয়ে ইট কিনতে জামালপুরে ইটের ভাটায় গিয়েছিলাম। পরে আমরা যখন ইট নিয়ে রাস্তায় তখন ফোনে শুনি বাড়িতে মারামারি হইছে। আর সাইফুল তখন আর বাড়িতেও ফিরে নাই। সে আমার সাথেই ছিলো।
শেরপুরে হয়রানীমূলকভাবে মামলায় নাম অন্তর্ভূক্ত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
শেরপুরে ঘটনার সময় অন্যত্র থাকার পরও হয়রানীমূলকভাবে মামলায় নাম অন্তর্ভূক্ত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী কলেজছাত্র সাইফুল ইসলামের পরিবার।
সাইফুল ওই গ্রামের মো. মানিক মিয়ার ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুলের বাবা মো. মানিক মিয়া জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৪ আগস্টের ঘটনা উল্লেখ করে সাইফুলকে ১ নং আসামিসহ তাদের পরিবারের ৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করেন একই গ্রামের আবুল কালাম আজাদ। মামলায় সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ কমলা বেগমের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার কথা উল্লেখ করা হলেও প্রকৃতপক্ষে সাইফুল ওইসময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। গত ৪ আগস্ট সকাল থেকেই তিনি বাড়ির কাজের জন্য ইট আনতে পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার একটি ইটভাটায় অবস্থান করছিলেন। যা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে যাচাই করলেই বুঝা যাবে বলে জানান। এছাড়া সাইফুল শেরপুর সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করলেও তার বয়স দেখানো হয়েছে ৩০, যা সঠিক নয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত স্থানীয় রাজমিস্ত্রি ইউসূফ আলী বলেন, দুইপক্ষের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যেই মামলা চলমান রয়েছে। তবে ঘটনার সময় সাইফুলকে আমি ভ্যানযোগে ইট আনতে জামালপুর পাঠিয়েছিলাম। সে ঘটনার সময় এখানে ছিল না।
ভ্যানচালক বাবুল মিয়া বলেন, আমি সাইফুলকে সাথে নিয়ে ইট কিনতে জামালপুরে ইটের ভাটায় গিয়েছিলাম। পরে আমরা যখন ইট নিয়ে রাস্তায় তখন ফোনে শুনি বাড়িতে মারামারি হইছে। আর সাইফুল তখন আর বাড়িতেও ফিরে নাই। সে আমার সাথেই ছিলো।
একই কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শী লিটন মিয়া, প্রত্যক্ষদর্শী মামুন মিয়া, প্রত্যক্ষদর্শী আয়নাল মিয়াসহ বেশ কয়েকজন। তারা বলেন, সাইফুল মারামারির সময় এখানে ছিলো না। হালকা পাতলা মারামারি হইছ এখানে। তবে সাইফুলের না থাকার পরও নামটা দিছে।
মন্তব্য