মামলা করতে এসে বগুড়ায় বেধড়ক মারপিটের শিকার হিরো আলম

সর্বমোট পঠিত : 16 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

হামলার পর হিরো আলম সাংবাদিকদের জানান, তিনি কখনোই তারেক রহমানকে নিয়ে কোন বক্তব্য দেননি। মিথ্যা একটি অভিযোগ তুলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে মারপিট করেছেন। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি লোকজন এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি হিরো আলমের।


নির্বাচনে অনিয়ম কারচুপি নিয়ে ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালসহ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করতে এসে আদালতে বেধড়ক মারপিটের শিকার হয়েছেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। রোববার দুপুরে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে এই মারপিটের ঘটনা ঘটে।

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচন এবং ২০২৩ সালের উপনির্বাচনে হামলা এবং ভোট চুরির অভিযোগ এনে ওবায়দুল কাদের, হাবিবুল আউয়াল এবং সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেনকে আসামী করে রোববার আদালতে মামলা করতে আসেন হিরো আলম। আদালতে মামলার আবেদন জমা দিয়ে নিচে নেমে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন আলম। এসময় ৮/১০ জন যুবক অতর্কিতে হামলা করে হিরো আলমের উপর।তারা হিরো আলমকে বেধড়ক চড় কিল ঘুষি এবং লাথি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাকে মারতে মারতে আদালত চত্বর থেকে সামনের সার্কিট হাউজ রোডে নিয়ে যান তারা। সেখানেও বেশ কিছুক্ষণ মারপিটের পর বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কেন আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছে হিরো আলম -সেটি জানতে চান ওই যুবকরা। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে একসময় হিরো আলমকে কান ধরে উঠবসও করান তারা। পরে হিরো আলমের সাথে থাকার লোকজন তাকে সরিয়ে নিলে হামলাকারীরা সেখান থেকে চলে যান।

হামলার পর হিরো আলম সাংবাদিকদের জানান, তিনি কখনোই তারেক রহমানকে নিয়ে কোন বক্তব্য দেননি। মিথ্যা একটি অভিযোগ তুলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে মারপিট করেছেন। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি লোকজন এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি হিরো আলমের।

হামলার পর সাথে থাকা লোকজন হিরো আলমকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি