বগুড়ায় শ্বাশুড়িকে হত্যার অভিযোগে মেয়ের জামাই গ্রেপ্তার

সর্বমোট পঠিত : 31 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১২ বগুড়ার এই শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের মিতুইল গ্রামে সেলিম হোসেনের ছেলে রাসেল হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত সোলেমানের মেয়ে ছালেহা বেগমের ৩ বছর আগে বিবাহ হয়। এরপর থেকে পারিবারিক নানা বিষয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। স্ত্রী ছালেহাকে তার মায়ের সমস্ত সম্পত্তি তার নামে লেখে দেওয়ার জন্য জোর করতো। এ নিয়ে গত বুধবার দুপুরে স্ত্রী ছালেহাকে এসব কলহে মারধর করে রাসেল। এসময় ছালেহার মা জোবেদা বেগম বাঁধা দিতে গেলে রান্নার পাতিল নামানো লোহার বেড়ির আঘাত লেগে তার গলার ভিতরে ঢুকে যায়। এতে করে জোবেদা বেগমের প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়। এসময় তাকে গুরুতর অবস্থায় নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। সেখান থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।


বগুড়ায় শ্বাশুড়িকে হত্যার অভিযোগে মেয়ের জামাইকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১২। বুধবার দিবাগত রাতে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হাজীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের নাম রাসেল হোসেন। তিনি আদমদিঘী উপজেলার চাপাঁপুর ইউনিয়নের মিতুইল এলাকার সেলিম হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া র‍্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কোম্পানী কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১২ বগুড়ার এই শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের মিতুইল গ্রামে সেলিম হোসেনের ছেলে রাসেল হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত সোলেমানের মেয়ে ছালেহা বেগমের ৩ বছর আগে বিবাহ হয়। এরপর থেকে পারিবারিক নানা বিষয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। স্ত্রী ছালেহাকে তার মায়ের সমস্ত সম্পত্তি তার নামে লেখে দেওয়ার জন্য জোর করতো। এ নিয়ে গত বুধবার দুপুরে স্ত্রী ছালেহাকে এসব কলহে মারধর করে রাসেল। এসময় ছালেহার মা জোবেদা বেগম বাঁধা দিতে গেলে রান্নার পাতিল নামানো লোহার বেড়ির আঘাত লেগে তার গলার ভিতরে ঢুকে যায়। এতে করে জোবেদা বেগমের প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়। এসময় তাকে গুরুতর অবস্থায় নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। সেখান থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর থেকেই জামাই রাসেল কৌশলে অন্যত্রে পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করে থাকে। ঘটনাটি গণমাধ্যম ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার হাজীপাড়া এলাকা থেকে রাসেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি