দিনাজপুরের পুলিশ সুপার ইফতেখার আহমেদের দিকনির্দেশনায় রোববার (২৭ আগস্ট) গভীর রাতে বীরগঞ্জের চৌধুরীহাট কবরস্থানে কঙ্কাল চুরির সময় স্থানীয়দের সহায়তায় চক্রের সদস্যদের আটক করা হয়। আটককৃতরা সবাই কঙ্কাল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
দিনে থাকেন দামি হোটেলে, রাতে করেন কঙ্কাল চুরি





কবর থেকে কঙ্কাল চুরিই তাঁদের পেশা। ঝুঁকি কম, লাভ বেশি। তাই দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা কঙ্কাল চুরি করছেন। প্রতিটি কঙ্কাল বিক্রি করেন ৬ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৭ হাজার ৫০০ টাকায়। চুরি করা কঙ্কালগুলো বিক্রি হয় রংপুর, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে। পর্দার আড়ালে থেকে একটি বড় চক্র এসব চোরদের উন্নতমানের হোটেলে থাকা ও খাওয়ার সুবিধাও দিয়ে থাকেন।
স্থানীয়দের সহায়তায় কঙ্কাল চুরির সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে আটক করার পর এমন তথ্য দিয়েছেন দিনাজপুর পুলিশ। আটককৃতরা হলেন শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার লালচান, আব্দুস সোবহান, শেখ ফরিদ, ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সেরাজুল ইসলাম ও দেলোয়ার হোসেন বাবু।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বীরগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে বীরগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোদাদাদ হোসেন জানান, আটককৃতদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। কঙ্কাল চুরিকে তাঁরা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
পুলিশ বলছে, কঙ্কাল চুরির জন্য দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলায় যাতায়াত তাঁদের। ২/৩ টি গ্রুপে ভাগ হয়ে চক্রটি বেশ কিছুদিন যাবৎ কঙ্কাল চুরি করছিলেন। দিনে রংপুরের বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থান করে রাতের আঁধারে করতেন চুরি।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার ইফতেখার আহমেদের দিকনির্দেশনায় রোববার (২৭ আগস্ট) গভীর রাতে বীরগঞ্জের চৌধুরীহাট কবরস্থানে কঙ্কাল চুরির সময় স্থানীয়দের সহায়তায় চক্রের সদস্যদের আটক করা হয়। আটককৃতরা সবাই কঙ্কাল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
বীরগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোদাদাদ হোসেন আরও জানান, সোমবার তাঁদের মামলার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পর্দার আড়ালে রয়েছে একটি বড় চক্র। সেই চক্রকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। দ্রুত কঙ্কাল চুরির সঙ্গে মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য