শিগগিরই ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামবে রিজার্ভ

সর্বমোট পঠিত : 106 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে , সর্বশেষ ৩ মে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৮ কোটি ডলার (৩০ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন)। আগামী ৮ মে আন্ত-আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তিকারী সংস্থা-আকুর (মার্চ- এপ্রিল) আমদানি বিল বাবদ ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধ করা হবে। এতে করে রিজার্ভ নেমে আসবে ২৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে রিজার্ভ হিসাবায়ন করা হয়, তাহলে এ অংক নেমে দাঁড়াবে ২২ বিলিয়ন ডলারে। প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।


রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সে নেতিবাচক প্রভাবে ডলার সংকটে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। এতে করে চাপে পড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী সোমবার (৮ মে) এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ-এপ্রিল মাসের আমদানি বিল ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধ করা হবে। ফলে রিজার্ভ আরও কমে ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে , সর্বশেষ ৩ মে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৮ কোটি ডলার (৩০ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন)। আগামী ৮ মে আন্ত-আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তিকারী সংস্থা-আকুর (মার্চ- এপ্রিল) আমদানি বিল বাবদ ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধ করা হবে। এতে করে রিজার্ভ নেমে আসবে ২৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে রিজার্ভ হিসাবায়ন করা হয়, তাহলে এ অংক নেমে দাঁড়াবে ২২ বিলিয়ন ডলারে। প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।

রিজার্ভ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এখন ব্যবহারযোগ্য ২৪ বিলিয়ন নেট রিজার্ভ রয়েছে। এর সঙ্গে বিভিন্ন তহবিল এবং ঋণ হিসাব যোগ করলে মোট ৩১ বিলিয়ন হবে। গত মার্চ-এপ্রিলের আকুর বিল পরিশোধ করলে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ নেমে আসবে ২২ বিলিয়ন ডলারে।

দেড় বছর আগেরও এ রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। সেখান থেকে কমতে কমতে এখন গ্রস ধরলে ৩১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, সেটা হচ্ছে সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয়।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জা মো. আজিজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, রিজার্ভ এখনই আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব না। কারণ রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স গত কয়েক মাস ধরে নেতিবাচক দেখা যাচ্ছে। এখন রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। এছাড়া সময়মত ব্যয় করতে না পারায় যেসমস্ত প্রতিশ্রুতির বৈদেশিক ঋণ বা সহায়তা আছে তা ছাড়াতে হবে। পাশাপাশি সম্প্রতি সময়ে বিশ্ব ব্যাংকসহ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে, যা বাজেটে সহায়তা করবে। এটা কিছুটা স্বস্তি দেবে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি খুব ভালো বলা যাবে না। তবে আমাদের অবস্থা শ্রীলঙ্কা হবে না এটা বলা যায়।

রিজার্ভ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, দেশের রিজার্ভ বাড়া-কমার মধ্যে থাকবে। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। প্রায় প্রতিদিনই রিজার্ভ পরিবর্তিত হয়। আকু পেমেন্টও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি রুটিন কাজ। ডলার সংকট আছে, এটি মোকাবেলায় ধারাবাহিক কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে। সংকট কাটাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আশা করছি শিগগিরই এর সুফল মিলবে।

রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ থেকে যে ডলার পাওয়া যায় তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি হয়। আবার আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে যে ব্যয় হয়, তার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা চলে যায়। এভাবে আয় ও ব্যয়ের পর যে ডলার থেকে যায় সেটাই রিজার্ভে যোগ হয়। আর বেশি খরচ হলে রিজার্ভ কমে যায়।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি