ভারতের জি-বাংলার ‘সা-রে-গা-মা-পা’ খ্যাত বাংলাদেশি গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। গানের চেয়ে বেশি ব্যক্তিজীবন আর নানা মন্তব্যের কারণে বারবার এসেছেন সংবাদের শিরোনামে। কখনো স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা, আবার কখনো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে উদ্ভট মন্তব্য করে অনেকবার সমালোচিত হয়েছেন। সম্প্রতি নিজের ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে গেছে জানিয়ে মাদককে দায়ী করেন নোবেল।
মঞ্চে উঠে গায়ক নোবেলের ‘অসংলগ্ন’ আচরণ, দর্শকদের জুতা নিক্ষেপ
ভারতের জি-বাংলার ‘সা-রে-গা-মা-পা’ খ্যাত বাংলাদেশি গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। গানের চেয়ে বেশি ব্যক্তিজীবন আর নানা মন্তব্যের কারণে বারবার এসেছেন সংবাদের শিরোনামে। কখনো স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা, আবার কখনো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে উদ্ভট মন্তব্য করে অনেকবার সমালোচিত হয়েছেন। সম্প্রতি নিজের ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে গেছে জানিয়ে মাদককে দায়ী করেন নোবেল।
এ মন্তব্যের পর এবার মঞ্চে গান পরিবেশনা করতে গিয়ে মাতলামি ও 'অসংলগ্ন আচরণ' করতে দেখা গেল তাকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সংগীত পরিবেশনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় নোবেলকে। স্থানীয়রা জানান, ওই দিন রাত ৯টার দিকে মঞ্চে গান পরিবেশনার কথা ছিল নোবেলের। কিন্তু সে মঞ্চে উঠেন রাত ১১টা ২০ মিনিটে। মঞ্চে গান গাওয়ার একপর্যায়ে মাতলামি শুরু করেন। মাতলামি করতে করতে বসে পড়েন।
এসময় মঞ্চে এমন অসংলগ্ন উচ্ছৃঙ্খল আচরণ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা। একপর্যায়ে তারা জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারতে থাকেন গায়ক নোবেলকে। পরে আয়োজক কর্তৃপক্ষ মঞ্চে থেকে সরিয়ে নেয় তাকে।
এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতে দেখা যায়, মঞ্চে উঠে নোবেল প্রথমে তাঁর চশমা খুলে পাঞ্জাবির কলারে রাখেন। তারপর তিনি দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, ‘দ্বিতীয়বার কুড়িগ্রাম আসলাম। এর আগেও কুড়িগ্রাম এসেছিলাম তোমাদের সঙ্গে দেখা হয়নি। এবার দেখা হলো আলহামদুলিল্লাহ। ’ এরপর তিনি তাঁর চশমা খুঁজতে থাকেন আর চিৎকার করে বলেন, ‘আমার চশমা কই। ’ পরে পাঞ্জাবির কলার থেকে চশমা নিয়ে চোখে দেন এবং একটি গান পরিবেশন করেন।
সেখানে নোবেলকে মাতলামো করা ছাড়াও মাইক্রোফোনের স্ট্যান্ড ভাঙচুর করতে দেখা গেছে।
মন্তব্য