শুধু সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দ

সর্বমোট পঠিত : 101 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ আব্দুল মান্নান খানকে কারণ দর্শানো নোটিশ ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপনকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। গত বুধবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ আব্দুল মান্নান খানকে কারণ দর্শানো নোটিশ ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপনকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। গত বুধবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

শুধু সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নয় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে অনুষ্ঠানে উপস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দও বলে দাবি তৃণমূল আওয়ামী লীগের কর্মীদের।

জানা যায়, গত ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে নরুন্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান স্বপন বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাক আহাম্মেদকে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রতিযোগী উল্লেখ করেন। যা দলীয় শৃঙ্খলা ও আদর্শ পরিপন্থি।

যার কারণে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপনকে দল থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

একই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ আব্দুল মান্নান খান। সেখানে উপস্থিত থাকলেও সেই বক্তব্যের কোন প্রতিবাদ করেননি উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সভাপতি বরং তিনি তার বক্তব্যে সেই বিতর্কিত বক্তব্যকে অত্যন্ত সুন্দর বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। এরই জেরে একই অপরাধে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ আব্দুল মান্নান খানকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার জবাব প্রদানে সাত কর্ম দিবস সময়ও দেওয়া হয়েছে তাকে।

জানা যায়, সেই অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব প্রাপ্ত ডজন খানেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক সেই বিতর্কিত বক্তব্যের কোন প্রকার প্রতিবাদ তারাও করেননি বরং করতালি দিয়ে এবং মাথা ন্যাড়ে সেই বক্তব্যে সমর্থন করেছিলেন তারা।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. এম এ মান্নান খান এবং সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপনের মতো উপস্থিত অন্যান্য নেতৃবৃন্দও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রামী অবিসংবাদিত রাজনৈতিক ভাবমূর্তির উপর চরম আঘাত করেছে বলে দাবি আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীদের।

আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীদের প্রশ্ন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতো উপস্থিত ওইসব নেতৃবৃন্দ কি সাংগঠনিক ব্যবস্থার আওতায় আসবে? নাকি আগামী দিনগুলোতে তাদের মধ্য থেকেই আবার নেতৃত্ব দিবে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি