সুন্দরবনে দেশীয় অস্ত্র গুলিসহ দস্যু বাহিনীর সদস্য আটক

সর্বমোট পঠিত : 106 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

সুন্দরবনের পাইস্যামারী এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে দেশীয় অস্ত্রসহ ও গোলাবারুদসহ এক বনদস্যুকে আটক করেছে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি একনলা বন্দুক, ১টি চারনলা বন্দুক, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১টি দেশীয় দাঁ ও একটি রড।


সুন্দরবনের পাইস্যামারী এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে দেশীয় অস্ত্রসহ ও গোলাবারুদসহ এক বনদস্যুকে আটক করেছে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি একনলা বন্দুক, ১টি চারনলা বন্দুক, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১টি দেশীয় দাঁ ও একটি রড।

৩১ মার্চ শুক্রবার দুপুরে এতথ্য নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন , গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩১ মার্চ শুক্রবার রাত ২টার দিকে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অধিনস্থ বিসিজি স্টেশন কয়রার স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে লেফটেন্যান্ট এম জহুরুল ইসলামসহ ১৫ সদস্যের একটি আভিযানিক দল পশ্চিম সুন্দরবনের পাইস্যামারী এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান চলাকালীন সময় কোস্টগার্ডের আভিযানিক দল গভীর রাত পর্যন্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ফাইস্যামারী এলাকা থেকে একজন বনদস্যুকে আটক করে। এসময় কোস্টগার্ড সদস্যরা আটক দস্যুর স্বীকারোক্তি নিয়ে বনের অভ্যন্তরে লুকিয়ে রাখা দেশীয় অস্ত্র,গোলাবারুদ জব্দ করে।

এ অভিযানে ২টি একনলা বন্দুক, ১ টি চারনলা বন্দুক, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১টি দেশীয় দাঁ ও ১টি রড উদ্ধার করা হয়। আটক বনদস্যু হলেন- সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের লিয়াকত গাজীর ছেলে আজিজুল গাজি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দস্যু আজিজুল জানায়, তিনি ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য ছিল এবং বিভিন্ন সময় সুন্দরবন এলাকায় ডাকাতি করে থাকে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রসহ আটক দস্যুকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রহমান আরও বলেন, কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের এখতিয়ারভূক্ত এলাকাসমূহে বিভিন্ন মেডিকেল ক্যাম্পেইন এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন ও বন্যপ্রাণী রক্ষা পাশাপাশি সুন্দরবনে জলদস্যুতা, বনদস্যুতা, ডাকাতি দমন, মাদক নিয়ন্ত্রন ও জননিরাপত্তায় পাশাপাশি উপকূলীয় নদী ও সমুদ্র এলাকায় যে কোন ধরনের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি