নালিতাবাড়ীতে ব্যানারে ইউপি চেয়ারম্যান ও নেতাদের নাম না থাকায় ভাঙচুর, অনুষ্ঠান পণ্ড

নালিতাবাড়ীতে ব্যানারে ইউপি চেয়ারম্যান ও নেতাদের নাম না থাকায় ভাঙচুর, অনুষ্ঠান পণ্ড
সর্বমোট পঠিত : 150 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

বুধবার দুপুরে ব্যানার ছিড়ে ফেলার পর ভাঙচুরের ঘটনায় উপস্থিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে তাৎক্ষণিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটি ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা চত্ত্বরে আসে৷ পরে ইউএনও ও ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়৷

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যানারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও নেতাদের নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর করে অনুষ্ঠান পণ্ড করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। ২২ মার্চ বুধবার দুপুরে উপজেলার ঘাকপাড়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিকেলেই অনুষ্ঠানের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

বুধবার দুপুরে ব্যানার ছিড়ে ফেলার পর ভাঙচুরের ঘটনায় উপস্থিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে তাৎক্ষণিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটি ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা চত্ত্বরে আসে৷ পরে ইউএনও ও ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়৷

প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার মাস উপলক্ষ্যে স্থানীয় ঘাকপাড়া একতা ফ্রেন্ডস স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ অনুষ্ঠানের ব্যানারে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মান্নানকে সভাপতি করা হয়৷ এক পর্যায়ে অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ব্যানারে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও এলাকার কতিপয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের নাম না থাকায় ক্ষোভে ফেটে পরেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা। পরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত শাহ পরান, রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশিদ, ইউপি সদস্য সিরাজ, যুবলীগ নেতা আলমগীর, কৃষকলীগ নেতা ইব্রাহীম, যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান, ইউপি আওয়ামীলীগ নেতা জালালসহ প্রায় ১৫ জন অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেন৷ ওইসময় তাঁরা তাদের সমর্থিত লোকজন নিয়ে ব্যানার নামিয়ে ছিড়ে ফেলেন ও ভাঙচুর চালা৷ পরে অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির সাথে এ নিয়ে বাগতিদন্ডা হয়৷ পরে এলাকার লোকজনের সহায়তায় উভয় পক্ষ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এদিকে অনুষ্ঠান পণ্ড হওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার নেতৃত্বে আয়োজক কমিটির সদস্যরা বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা পরিষদে প্রবেশ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন৷ পরে বিকেলে থানায় গিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়৷

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ব্যানারে নেতাদের নাম না থাকায় তাঁরা এভাবে ব্যানার ছিড়ে ও ভাঙচুর করে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। আমাকেও অপমান করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে আওয়ামীগ নেতা শাহ পরান, হারুন অর রশিদ, হাবিবুরসহ একাধিক নেতার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা বলেন, ইউএনও স্যার আমাকে ফোন করার পর বিষয়টি জেনেছি। নেতাদের নাম না থাকায় তাঁরা ব্যানার নামিয়ে প্রোগ্রাম করতে বলেছিল বলে শুনেছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নালিতাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল লতিফ বলেন, ওই ঘটনায় বিকেলে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে ইউএনও খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে কে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি