শেরপুরে ডায়াগনস্টিকের মালিকের বিরুদ্ধে ডাক্তার সেজে ভাঙ্গা হাড় প্লাস্টার করার অভিযোগ

সর্বমোট পঠিত : 85 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

শেরপুর শহরের নারায়নপুর এলাকায় জেলা হাসপাতালের সামনে এ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর মালিক সুজন (উরফে জিয়া) ডাক্তার সেজে নিজেই শিশু রুমান(৯) নামের এক শিশুর হাতের হাড় ভাংগা চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিশুর হাত প্লাষ্টার করে দিলেও তা ভালো হয়নি। ফলে দীর্ঘ দিনেও রুমানের হাত ভাল হয়নি। এতে প্রতিবন্ধী হতে বসেছে রুমান। এনিয়ে ভুক্তভোগী রুমানের নানী খোদেজা বেগম সিভিল সার্জনের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন। খোদেজার বাড়ী নকলা উপজেলার চরাঞ্চলে।


শেরপুর শহরের নারায়নপুর এলাকায় জেলা হাসপাতালের সামনে এ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর মালিক সুজন (উরফে জিয়া) ডাক্তার সেজে নিজেই শিশু রুমান(৯) নামের এক শিশুর হাতের হাড় ভাংগা চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিশুর হাত প্লাষ্টার করে দিলেও তা ভালো হয়নি। ফলে দীর্ঘ দিনেও রুমানের হাত ভাল হয়নি। এতে প্রতিবন্ধী হতে বসেছে রুমান। এনিয়ে ভুক্তভোগী রুমানের নানী খোদেজা বেগম সিভিল সার্জনের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন। খোদেজার বাড়ী নকলা উপজেলার চরাঞ্চলে।

ভুক্তভোগী রোগীর নানী খোদেজার অভিযোগ গত ১৪ জানুয়ারী বিকালের দিকে রুমান (৯) খেলতে গিয়ে হাত ভেঙ্গে ফেলে। একজন লোকের পরামর্শে রাত ১০টার দিকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে এক দালাল সার্জরি ডাক্তার আকলেছুর রহমান খান তুহিনকে দিয়ে ভালো চিকিৎসা করিয়ে দেয়ার কথা বলে হাসপাতালের সামনের এ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসে।ডাঃ তুহিনকে দিয়ে আমার নাতির চিকিৎসা করাতে চাইলে ডাক্তারের চেয়ারে বসে থাকা ওই সুজন নিজেকে ডাক্তার তুহিন পরিচয় দিয়ে নাতির চিকিৎসার করেন। এবং ভূলভাবে হাত প্লাষ্টার করে দেয়।

এ সময় সুজন অপর এক সহযোগীকে ডাকেন। ওই সহযোগীই আমার নাতির ভাঙ্গা হাতে প্লাষ্টার ও তুহিন ডাক্তারের প্যাডে ব্যবস্থা পত্র লিখে দেন। নাতিকে বাড়ীতে নিয়ে আসি কিন্ত চার সপ্তাহ পাড় হয়ে গেলেও ব্যাথা না কমায় সদর হাসপাতালের হাড়ের ডাক্তার আরিফের কাছে যাই। ডাক্তার এক্সরে করে দেখেন আমার নাতির হাতের অবস্থা আরও অবনতি হয়েছে এবং জরুরীভাবে অপারেশন করার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তার তুহিনের স্বরণাপন্ন হয়ে জানতে পারি নাতির চিকিৎসা করা ডাক্তার আর তুহিন ডাক্তার এক ব্যাক্তি নয়।

ডাক্তার সেজে চিকিৎসা করেছেন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সুজন এবং তার সহকারী হাসপাতালের এক ফার্মাসিষ্ট। এই প্রতারণার প্রতিবাদ করলে সুজন এলাকা ছাড়া করাসহ মামলা করার হুমকি এবং প্রাণনাশের ভয় দেখান। পরে ময়মনসিংহ নিয়ে গেলে এরোগীর অপারেশন করতে সবকিছু মিলে একলাখ টাকা লাগবে বলে জানানো হয়। এতে অসহায় হয়ে পড়ে এ শিশুর পরিবার।

এঘটনার বিচার চেয়ে শিশুর নানি শেরপুরের সিভিল সার্জন বরাবর আবেদন করে। সিভিল সার্জন বিষয়টি তদন্ত করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দেন। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানান তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ মো: মোবারক হোসেন।

এবিষয়ে ডা: তুহিন বলেন আমার প্যাড যেই ব্যবহার করে থাকুক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

অভিযোগকারী খোদেজা বেগম জানান, রুমানের বাবা নেই, মা পোষাক শ্রমিক। আমারা গরিব মানুষ , ভুল চিকিৎসায় রুমান পুঙ্গ হতে বসেছে। ভাল হতে বড়সর অপারেশন করতে হবে , লক্ষাধিক টাকা লাগবে বলে চিকিৎসক জানিয়েছে। আমরা এতো টাকা কই পামু। আমি এর বিচার চাই। দাললরা আমারে এ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে এসেছে। তাদেরও বিচার চাই।

এ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক অভিযুক্ত সুজনের দাবী তিনি কিছুই জানেন না। রোগীকে তিনি এর আগে কোনদিন দেখেননি। এসময় তার স্ত্রীও সাংবাদিকদের সাথে উত্তেজিত হয়ে পড়ে।

আর ব্যবস্থা পত্রের হাতের লেখা দেখে ডাঃ তুহিন নিশ্চিত করেন লিখাটি ফার্মাসিস্ট তরুণী কান্তি সাহার হাতের লেখার মতো মনে হয় । তবে তরুনী কান্তি তা অস্বীকার করেন। 

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি