চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছুরিকাঘাতে আহত বগুড়া শজিমেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু

সর্বমোট পঠিত : 69 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেল আহম্মেদ জানান, ঘটনার পরেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। সকালে চিকিৎসক ফাহিমের মারা যাওয়ার বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি। এ ঘটনায় হত্যা চেষ্টার মামলা হত্যা মামলায় রুপান্তর হবে৷


বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী (২৫ তম ব্যাচ) মেহেরাজ হোসেন ফাহিম ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) ফাহিমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শজিমেকের উপ-পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ।

ওই শিক্ষার্থী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে মারা যান বলে জানিয়েছেন শজিমেকের অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল।

গত ২৩ নভেম্বর (বুধবার) সন্ধ্যার দিকে ইন্টার্ন চিকিৎসক ফাহিম বন্ধুদের সাথে শজিমেক হাসপাতালের ২ নম্বর গেটে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় তারা বাবা-ছেলে ফরিদ ব্যাপারী ও শাকিল হোসেনের দোকানে ঝাল-মুড়ি খেতে যান। সেখানে ঝাল-মুড়ি খাওয়া নিয়ে বাবা-ছেলের সাথে বাকবিতণ্ডতায় জড়িয়ে পড়েন ফাহিম। ওই সময় ক্ষিপ্ত হয়ে শাকিল তার হাতে থাকা পেঁয়াজ কাটার চাকু দিয়ে ফাহিমের পেটে আঘাত করে পালিয়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে শজিমেকে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

এ ঘটনায় বুধবার রাতেই জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সোনাতলার উপজেলার বালুয়াহাট থেকে মূল অভিযুক্ত ঝালমুড়িওয়ালা শাকিল ব্যাপারি (২৬) ও তার বাবা ফরিদ ব্যাপারি (৫১) কে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) চিকিৎসক ফাহিমের বাবা নূর মোহাম্মাদ বাদী হয়ে সদর থানায় ফুটপাতের ঝাল-মুড়িওয়ালা বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেন। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেল আহম্মেদ জানান, ঘটনার পরেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। সকালে চিকিৎসক ফাহিমের মারা যাওয়ার বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি। এ ঘটনায় হত্যা চেষ্টার মামলা হত্যা মামলায় রুপান্তর হবে৷

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি