মাদক বিক্রির প্রতবাদ করায় শেরপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়রকে পিটিয়ে আহত॥ আটক ১

শেরপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র নাজমা বেগম
সর্বমোট পঠিত : 125 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

দিকে নারী কাউন্সিলরের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন জানান, আগামী রোববার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। 

মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় শেরপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র নাজমা বেগমকে পিটিয়ে আহত করেছে মাদক কারবারিরা। আহত হয়ে তিনি শেরপুর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এঘটনায় তার বাবাকেও পেটানো হয়েছে তিনি জানান। 

১১ নভেম্বর শুক্রবার সকালে পৌর শহরের দিঘারপাড় মহল্লায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনায় শহিদুল নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

ভুক্তভোগী প্যানেল মেয়র ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে শেরপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের দিঘারপাড় এলাকায় টিপু মিয়ার ছেলে রফিজুল ও শহিদুলসহ তার পরিবার ইয়াবাসহ মাদক বিক্রি করে আসছে। মাদক বিক্রির বন্ধের জন্য প্যানেল মেয়র নাজমা বেগম পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটনকে জানালে, তিনি এ ব্যাপারে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করেন। পরে গতকাল রাতেই পুলিশ ওই এলাকায় খোঁজ খবর নেয়। এতে স্থানীয় মাদককারবারিরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। আজ সকাল দশটার দিকে মাদক কারবারিরা প্যানেল মেয়র নাজমা বেগমের ওপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে তাকে আহত করে। পরে তিনি শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। 

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মোঃ জাকারিয়া জানান, আজ দুপুর ১২টার দিকে নাজমা বেগম হাসপাতালে আসলে তাকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

আহত নাজমা বেগম বলেন, আমার প্রতিবেশী টেপুচোরার ছেলে ও  পরিবারের অন্যরা দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা বাবাসহ মাদক বিক্রি করে আসছে। তাদের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারে না। আমি বিষয়টি মেয়র সাহেবকে জানালে তিনি এসপি স্যারকে জানান। গতকাল রাত থেকে গালিগালাজ করে আসছে তারা। আজ সকাল দশটার দিকে আমার ওপর হামলা করে পিটিয়ে আহত করে। 

এদিকে নারী কাউন্সিলরের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন জানান, আগামী রোববার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। 

স্থানীয় যুবক রনি জানান, ওরা খুব খারাপ লোক। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে পারেনা। 

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল জানান, তারা পরস্পর আত্মীয়। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি