সৈয়দপুরে শ্যালকের দা’র কোপে দুলাভাইয়ের বৃদ্ধাঙুল বিচ্ছিন্ন

সর্বমোট পঠিত : 89 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

নীলফামারীর সৈয়দপুরে পারিবারিক কলহের জেরে শ্যালকের ধাঁরালো দা এর কোপে দুলাভাই নুরনবী’র হাতের বৃদ্ধাঙুল সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর এ ঘটনায় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হাতে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত্র আহত হয়েছেন তাঁর মা মোতমাইনা বেগম (৪৮)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও ছেলেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


মিজানুর রহমান মিলন:
 নীলফামারীর সৈয়দপুরে পারিবারিক কলহের জেরে শ্যালকের ধাঁরালো দা এর কোপে দুলাভাই নুরনবী’র হাতের বৃদ্ধাঙুল সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর এ ঘটনায় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হাতে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত্র আহত হয়েছেন তাঁর মা মোতমাইনা বেগম (৪৮)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও ছেলেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের পূর্ব বেলপুকুর ডিকশো মোল্লাপাড়ায় গত বুধবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টায় ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে গ্রামবাসী। আর গতকাল বৃহস্পতিবার ঘটনার মূল হোতা  আবু সালেহকে আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার আর্জি সূত্রে জানা যায়, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের পশ্চিম বেলপুকুর ডিকসো মোল্লাপাড়ার মো. হাফিজুল ইসলামের ছেলে নুরনবী (৩০)। আর একই উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়ার আবেদ আলীর মেয়ে আবেদা খাতুন শিল্পী (২৪)। প্রায় দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে বনিবনা হচ্ছিল না। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার গ্রাম্য সালিশ মীমাংসাও হয়। আর ওই বিরোধের জের ধরে গত বুধবার সন্ধ্যায় সাড়ে ছয়টায় গৃহবধু আবেদা খাতুন ওরফে শিল্পীর ভাই আবু সালেহ (২০) তাঁর দুই সহযোগী নুর আমিন (১৮) ও ফিরোজ ইসলামকে (২০) সঙ্গে নিয়ে দুলাভাই নুরনবীর বাড়িতে যায়। তারা পূর্ব পরিকল্পিত অনুযায়ী সেখানে  গিয়ে  শ্যালক আবু সালেহ তার সঙ্গে থাকা ধাঁরালো দা দিয়ে দুলাভাই নুরনবীর মা মোতমাইনা বেগমের ডান হাতে কোপ দেয়। এতে তিনি হাতের কনুই এর ওপর গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন।

এ সময় সেখানে মাকে রক্ষার জন্য ছেলে  নুরনবী (৩০) এগিয়ে গেলে তার ওপরও চড়াও হয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে শ্যালক আবু সালেহ। এতে নুরনবী’র ডান হাতের বৃদ্ধাঙুল সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ সময় তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয় লোকজনরা দ্রুত ছুঁটে এসে আহত মা ও ছেলেকে প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সেখান থেকে তাঁদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই নুরনবীর শ্যালক আবু সালেহ সেখান দ্রুত থেকে সটকে পড়ে। তবে তাঁর দুই সহযোগিকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করে গ্রামবাসী। আটককৃত নুর আমিন সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের হাজীপাড়ার মৃত. বুলু মামুদের  ছেলে এবং ফিরোজ ইসলাম একই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে।

 এ ঘটনায় আহত নুরনবীর চাচা মো. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামী করে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
 সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলার আসামী গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি