শুক্রবার যে আমল করলে পুরো সপ্তাহের সগিরা গুনাহগুলো মাফ হয়ে যায়

সর্বমোট পঠিত : 212 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ছুটি উপলক্ষে প্রত্যেকে নানাভাবে এই দিন উদযাপন করতে পছন্দ করে। তবে ঈমানদার ব্যক্তিরা এই দিনটিকে মোক্ষম সুযোগ মনে করে। ফলে ইবাদত-বন্দেগিতে এই দিন ব্যয় করে থাকেন তারা। সারা সপ্তাহে আমল ও ইবাদতে যে ভুল-ত্রুটি হয়েছে, তা পূরণ করার চেষ্টা করে।

শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ছুটি উপলক্ষে প্রত্যেকে নানাভাবে এই দিন উদযাপন করতে পছন্দ করে। তবে ঈমানদার ব্যক্তিরা এই দিনটিকে মোক্ষম সুযোগ মনে করে। ফলে ইবাদত-বন্দেগিতে এই দিন ব্যয় করে থাকেন তারা। সারা সপ্তাহে আমল ও ইবাদতে যে ভুল-ত্রুটি হয়েছে, তা পূরণ করার চেষ্টা করে।

আল্লাহর রাসুল (সা.) এই দিনের বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। কারণ, জুমার দিনই সপ্তাহের সর্বোত্তম ও শ্রেষ্ঠতম। তিনি এই দিনের বিশেষ সুন্নাতও শিক্ষা দিয়েছেন। যেগুলোর ওপর আমল করলে পুরো সপ্তাহের সগিরা গুনাহগুলো মাফ হয়ে যায়।

এই দিনের বিশেষ আমলের মধ্যে কিছু সুরা পাঠের কথা হাদিসে রয়েছে। যেগুলো তিলাওয়াত করলে অশেষ নেকি অর্জন হবে। নিম্নে সেই সুরাগুলোর ব্যাপারে আলোচনা করা হলো- 

সুরা কাহফ পড়লে ঈমানের নুর লাভ

আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুরা কাহফ পাঠ করবে, তার ঈমানের নূর এক জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত বিচ্ছুরিত হতে থাকবে।’ (বায়হাকি, সুনানে সুগরা, হাদিস : ৬৩৫; বায়হাকি, সুনানে কুবরা, হাদিস : ৫৭৯২)

বারাআ (রা.) সুরা কাহফের বিশেষ মর্যাদা সম্পর্কে বলেন, এক ব্যক্তি ‘সুরা কাহফ’ তিলাওয়াত করছিলেন। তার ঘোড়াটি দুটি রশি দিয়ে তার পাশে বাঁধা ছিল। তখন এক টুকরা মেঘ এসে তার ওপর ছায়া দান করল। মেঘখণ্ড ক্রমেই নিচের দিকে নেমে আসতে লাগল। আর তার ঘোড়াটি ভয়ে লাফালাফি শুরু করে দিল।

সকালবেলা যখন লোকটি নবী (সা.)-এর কাছে উক্ত ঘটনার কথা ব্যক্ত করেন, তখন তিনি বলেন, এটি ছিল সাকিনা (প্রশান্তি), যা কোরআন তিলাওয়াতের কারণে নাজিল হয়েছিল। (বুখারি, হাদিস : ৫০১১)

ফজর-জুমায় সুন্নাত অনুসারে সুরা পাঠ

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, নবী (সা.) জুমার দিন ফজরের নামাজে ‘আলিফ লাম মিম তানজিলুস সাজদাহ’ (সুরা আস সাজদাহ) ও ‘হাল আতা আলাল ইনসা-নি হিনুম মিনাদ দাহর’ (সুরা আদ দাহর) এবং জুমার নামাজে সুরা জুমা ও সুরা মুনাফিকুন পাঠ করতেন। (মুসলিম, হাদিস : ১৯১৬)

সুরা দুখান পাঠ করলে ক্ষমা প্রাপ্তি

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার রাতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে) সুরা হা-মীম আদ-দুখান পাঠ করবে তাকে ক্ষমা করা হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৮৮৯)

অন্যান্য বর্ণনায় সুরা ইয়াসিনের কথাও উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ্য যে, শুধু সুরা ইয়াসিন নয়; পবিত্র কোরআনের সব সুরাই বরকতময় ও পুণ্যবহ। তাই মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায়-জুমার দিন আমরা যে কোনো সুরাই তিলাওয়াত করতে পারি। 

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি