‘মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে’ আগুনে পুড়ে ছারখার হাইফা

সর্বমোট পঠিত : 80 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে একই দিনে এক সঙ্গে জ্বলে উঠলে প্রতিপক্ষের অবস্থা কেমন হতে তা হাড়ে হাড়ে টের পেল মাকাবি হাইফা। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে এই ত্রয়ী মনোমুগ্ধকর ফুটবলে ইসরায়েলি ক্লাবটিকে ৭-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পিএসজি।


মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে একই দিনে এক সঙ্গে জ্বলে উঠলে প্রতিপক্ষের অবস্থা কেমন হতে তা হাড়ে হাড়ে টের পেল মাকাবি হাইফা। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে এই ত্রয়ী মনোমুগ্ধকর ফুটবলে ইসরায়েলি ক্লাবটিকে ৭-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পিএসজি।

পার্ক দে প্রিন্সেসে দলের জয়ে দুটি করে গোল করেছেন লিওনেল মেসি এবং কিলিয়ান এমবাপ্পে। একটি গোল প্রতিপক্ষ ফুটবলারের পায়ে লেগে জালে না গেলে নেইমার জুনিয়রের নামের পাশে লেখা থাকত দুটি গোল।
অপর গোলটি এসেছে বদলি নামা কার্লোস সলেরের পা থেকে।

জোড়া গোল ছাড়াও মেসি-এমবাপ্পে ম্যাচে জোড়া অ্যাসিস্টও করেছেন। এ রাতে মেসি অবশ্য পেয়ে যেতে পারতেন পিএসজির জার্সি গায়ে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা। তবে ৭৪ মিনিটে তার নেওয়া জোরাল শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে হ্যাটট্রিক বঞ্চিতই থাকতে হয় এই আর্জেন্টাইন তারকাকে।

ম্যাচের শেষের দিকে ফ্রি কিক থেকেও মেসির সামনে সুযোগ ছিল আরও একবার স্কোরশিটে নাম তুলবার। তবে পছন্দের জায়গা থেকে ফ্রি কিক নিলেও বল গোলে রাখতে পারেননি তিনি। শেষ দিকে হ্যাটট্রিক মিসের হতাশায় পুড়লেও পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেন মেসি। দলের গোলখাতাও খোলেন তিনি। ১৯ মিনিটে ডি বক্সে এমবাপ্পের পাস থেকে বাঁ পায়ের বুটের ইনসাইড শটে মাকাবির গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।

৩৪ মিনিটে এমবাপ্পে নিজেই গোল করেন। তার বাড়ানো বল থেকে নেইমার গোল করতে ব্যর্থ হলেও আবার পায়ে বল যেতেই ডান পায়ের বাঁকানো শটে গোল পেয়ে যান এই ফরাসি তারকা। এর কিছুক্ষণ পর মেসি-এমবাপ্পের সঙ্গে গোল উৎসবে যোগ দেন নেইমার। আক্রমণভাগের তিন ত্রয়ীর দারুণ বোঝাপড়ায় ৩৫ মিনিটে গোল পান নেইমার। গোলে শট নেওয়ার আগে মেসির কাছ থেকে বলটি পান তিনি।

পিএসজি ত্রয়ীর সামনে হাইফার রক্ষণ পাত্তা না পেলেও ম্যাচের শুরু থেকেই তাদের আক্রমণভাগ ছিল বেশ ধারালো। ভাগ্য সহায় থাকলে পিএসজির আগে তারাই ম্যাচে লিড নিতে পারত। অতিথিরা গোল পায় ঠিকই। সেটা পিএসজির তৃতীয় গোলের পরে। বাঁ প্রান্ত থেকে আচমকা নেওয়া ফ্রি কিকে ওমের আতজিলি ডি বক্সে খুঁজে নেন আব্দুলায়ে সেককে। হেডে গোল করেন এই দীর্ঘকায় ডিফেন্ডার।

হাইফা ম্যাচে অপর যে গোলটি পেয়েছে সেটাও এই ডিফেন্ডারের করা। ওই হেডেই। ৫০ মিনিটে পিএসজির রক্ষণ বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ফ্রান্টজডি পিয়েরটের হেড থেকে উড়ে আসা বল হেডেই পিএসজির জালে পাঠান সেক। তবে এই সেনেগালিজ ডিফেন্ডার দ্বিতীয় গোল পাওয়ার আগে মেসি করেন ম্যাচে তার দ্বিতীয় গোল।

প্রথমার্ধেরই ৪৪ মিনিটে এমবাপ্পের কাছ থেকে বল পেয়ে হাইফার দুই ডিফেন্ডারকে ড্রিবলে বোকা বানিয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ে দর্শনীয় গোলটি করেন মেসি। পিএসজি তাদের পঞ্চম গোলের দেখা পায় ৬৪ মিনিটে। বাঁ প্রান্ত থেকে ফুলব্যাক আশরাফ হাকিমির ক্রস প্রথমে নিজের আয়ত্তে নেন এমবাপ্পে। এরপর প্রথম গোলের মতো বাঁ পাশ থেকে ডান পায়ের বাঁকানো শটে ‘ব্রেস’ (জোড়া গোল) পূর্ণ করেন এমবাপ্পে।

সেই গোলের মিনিট দুই-এক পরেই আবারও পিএসজির গোল। এবার অবশ্য নিজেদের জালে বল পাঠালেন হাইফার ডিফেন্ডার সেন গোল্ডবার্গ। বাঁ পাশ থেকে নেইমার ড্রিবলিং করে এক ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে পাসটি দিতে চেয়েছিলেন ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা মেসির উদ্দেশে। তবে সেই বল মেসির পায়ে যাওয়ার আগেই গোল্ডবার্গের পায়ে লেগে জড়ায় জালে।

প্রতিপক্ষকে ৬ গোলের নাকানিচুবানি খাওয়ানোর পরও যেন গোলখুদা মিটছিল না পিএসজির। তাই তো বদলি হয়ে নেমে স্কোরশিটে নাম লেখালেন সলেরও। ৮৪ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে মেসি দারুণ পাসে খুঁজে নেন আগুয়ান সলেরকে। অনেকটা মেসির মতো করেই বাঁ পায়ের শটে হাইফার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন তিনি।

হাইফাকে গোলের বানে ভাসিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলও নিশ্চিত করেছে পিএসজি। ৫ ম্যাচ শেষে ১১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকেই নকআউট পর্বে ওঠার দ্বারপ্রান্তে এখন প্যারিসের ক্লাবটি। 

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি