দলের প্রয়োজনে একাদশে পরিবর্তন: সাকিব

সর্বমোট পঠিত : 114 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

আরো একটি জয়ের খোঁজে সুপার টুয়েলভের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বৃহস্পতিবার মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তবে, সেই উইনিং কম্বিনেশনে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে টাইগাররা। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে এমন আবাসই দিয়েছেন দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।


আরো একটি জয়ের খোঁজে সুপার টুয়েলভের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বৃহস্পতিবার মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তবে, সেই উইনিং কম্বিনেশনে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে টাইগাররা। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে এমন আবাসই দিয়েছেন দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ডাচদের অলআউট হওয়ার দিনে ৭ উইকেটই পকেটে পুরেছে পেসাররা।
সিডনিতে কাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। কঠিন এই ম্যাচ সামনে রেখে বাংলাদেশের পেসারদের ভূয়সী প্রশংসা করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

ডাচদের বিপক্ষে ২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিজের টি-২০ ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং করেন তাসকিন আহমেদ। ২ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। সংবাদ সম্মেলনে তাসকিনের প্রশংসাটা আলাদাভাবেই করলেন সাকিব, ‘সে এখন পেস বিভাগে অন্যতম এক নেতা। মাশরাফি যাওয়ার পর গত দুই তিন বছরে বাংলাদেশের হয়ে সে অসামান্য উন্নতি করেছে। উদাহরণ তৈরি করছে। তিন সংস্করণেই আমাদের খুব ভালো ফাস্ট বোলার আছে আর তারা খুব ভালোও করছে। ফলটা এখন দেখা যাচ্ছে। আশা করছি বিশ্বকাপে তারা এভাবেই পারফর্ম করে যাবে। ’

ডাচদের বিপক্ষে ৪ বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেললেও সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে এক বোলার কম নিয়ে খেলাটা হতে পারে বুমেরাং। ফলে এ ব্যাপারে সাকিবের ভাবনা কি জানতে চাওয়া হলে সাকিব বলেন, ‘প্রতিপক্ষ সহজেই আমাদের সমন্ধে ধারণা পাক, সেটা আমরা চাই না। আমরা প্রতিপক্ষ ও কন্ডিশন মাথায় রেখে নিজেদের প্রস্তুত করেছি। প্রতিটি ভেন্যুর আবহাওয়া থেকে প্রায় সবকিছুই তো আলাদা। আমরা এসব মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করেছি। ’

আগের ম্যাচের ফল এবং কন্ডিশন দেখে টসের বিষয়টি মাথায় থাকবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, ‘টস আমাদের হাতে নেই। ম্যাচ জেতার জন্য খেলতে নামব, আগে ব্যাটিং কিংবা বোলিং যাই করি, ভালো করার চেষ্টা করব। সাউথ আফ্রিকার জন্যও ম্যাচটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় বাঁচা-মরার ম্যাচ। তাই ওরা একটু হলেও চাপে থাকবে। আর আমরা এমন একটা মাঠে এসেছি যেখানে আমরা যেকোনো দলের সঙ্গে খেলতে পছন্দ করব। কারণ অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো উইকেটের চেয়ে সিডনিতে সাধারণত স্পিনারদের জন্য সুবিধাটা বেশি থাকে। ’

প্রোটিয়াদের কঠিন পেস আক্রমণ কিভাবে সামলাবে সাকিবের দল প্রশ্ন ছিল সাকিবের কাছে। যেখানে বেশ সাহসী উত্তর দিয়েছেন অধিনায়ক। তিনি জানান, ‘গত ম্যাচের ওপেনিং জুটি একটা আত্মবিশ্বাস দেবে। প্রথম ম্যাচে তো এক নার্ভাসনেস থাকেই। সেটি কেটে যাওয়ার পর জড়তা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। খোলা মনে খেলা উচিত। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি খেলেছি, যদিও ওয়ানডে। আইসিসি ইভেন্টেও যখন খেলেছি, আমরা জানি ওরা আমাদের কীভাবে আক্রমণ করতে পারে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সফল ছিলাম। সব ব্যাটসম্যান জানে কী করতে হবে। ’

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি